१२ রত্নাবলী নাটক । সর্থীরা বলিল কত তবু তার প্রসন্নতা পেন্থ না তখন । রোদন করিয়া এবে অশ্রুজলে কোপ দেবী করিলা ক্ষালন ॥ (সোৎকণ্ঠে নিঃশ্বাস ফেলিয়া ) দেবী তো এখন প্রসন্ন হয়েছেন, এখন কেবল সাগরিকার চিন্তাতেই আমার মন ব্যাকুল। পঙ্কজ-কোমল-তু সেই মোর প্রিয়া, আলিঙ্গিমু তারে নব অনুরাগ ভরে, দ্রব হয়ে মদনের শর-ছিদ্র দিয়া পশিল সে তনু যেন প্রাণের ভিতরে ॥ (চিন্তা করিয়া ) হায়! আমার বিশ্রাম-স্থান যে বসন্তক, তাকেও দেবী আটকে রাখলেন—এখন তবে কার কাছে অশ্রু মোচন করি ? বসন্তকের প্রবেশ । বস —(পরিক্রমণ করত অবলোকন করিয়া সবিস্ময়ে ) এই যে আমার প্রিয়সথা—উৎকণ্ঠায় ক্ষীণ হয়ে, মুখস্ত্রর লাবণ্য যেন দ্বিতীয়ার চন্দ্রের মত আরও বৃদ্ধি হয়েছে—এইবার তবে নিকটে योंझे । ( নিকটে গিয়া ) কল্যাণ হোক ! দেবীর হাতে পড়েও আপ নাকে যে আবার চক্ষে দেখতে পেলেম এই আমার পরম ভাগ্যি। স্বাজ –( দেখিয়া ) এই যে, বসন্তক এসেছ যে ; এলে সখী আমাকে আলিঙ্গন কর ।
পাতা:রত্নাবলী নাটক.djvu/৮১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।