পাতা:রথযাত্রা ও অন্যান্য গল্প - নগেন্দ্রনাথ গুপ্ত (১৯৩১).pdf/২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২০
রথযাত্রা ও অন্যান্য গল্প

 সব ছেলেমেয়ে হাততালি দিয়ে হেসে উঠল। ব্রজনাথের বড় বোন্ উমা বল্‌লে, কেমন, দিদিমার সঙ্গে আবার লাগবি? কলেজে দু’খানা ইংরিজি বই পড়লেই হয় না। দিদিমার কথায় কেউ এঁটে ওঠে না, তুই ওঁর সঙ্গে পারবি?

 আর এক মেয়ে বললে,—একটা নতুন ছড়া শিখলাম—

ভোঁদা, ভোদা, ভোঁদা,
গোঁড়া নেবুর মত টক জোঁদা।

 ভোঁদা ত পালাবার পথ পায় না। সে রাত্রের পালা সায় হ’ল।

—২—

 তার পরদিন দুপুরবেলা খাওয়া-দাওয়ার পর পিসীমা কুমুদিনীকে জিজ্ঞাসা কর্‌লেন,— হ্যাঁ রে, হিমুরা সব ভাল আছে ত?

 হিমু হলেন হেমলতা। কুমুদিনী বল্‌লেন,—হ্যাঁ পিসীমা, তারা সব ভাল আছে। হিমু কাল এসেছিল, তোমার আসবার কথা সে জানে।

 এই কথা হচ্ছে, এমন সময় হেমলতা এসে উপস্থিত। পিসীমাকে নমস্কার করতেই তিনি বল্‌লেন,—এই যে হিমু, এইমাত্র তোমার কথা জিজ্ঞাসা করছিলাম। তুমি চিরজীবী হয়ে থাক্‌বে।

 —পিসীমা, মেয়েমানুষের পক্ষে এমন কথা কি আশীর্ব্বাদ? বরং আশীর্ব্বাদ কর, যেন এঁকে আর ছেলেদের রেখে যেতে পারি।

 —তা মা, সত্যি কথা। সাজান সংসার রেখে যাওয়া মেয়েমানুষের বড় ভাগ্যির কথা। তুমি ভাগ্যবতী, পাকা চুলে সিঁদূর পর্‌বে।

 —পিসীমা, খবরের কাগজে বেরিয়েছিল, তোমাদের দেশের