—যে-দিন ইচ্ছে গেলেই হ’ল, পিসীমা। বাড়ীর গাড়ী রয়েছে, যে-দিন বল্বে, তোমার জন্য গাড়ী থাক্বে। অমাবস্যার দিন যাবে?
—না বাছা, অত ভিড়ের দিন গিয়ে কাজ নেই। চ না, এরি মধ্যে এক দিন দর্শন ক’রে আসি!
—কবে যাবে, বল?
—গাড়ীর যদি সুবিধা হয় ত কাল গেলেই হয়।
গাড়ীর আবার সুবিধা-অসুবিধা কি? তোমার জন্য গাড়ী চাই—তার আবার কথা!
বিশ্বনাথ খেতে বসেছেন, পিসীমা পাখা-হাতে মাছি তাড়াচ্ছেন। কুমুদিনী বল্লেন,—কাল পিসীমা কালীঘাটে যাবেন, গাড়ী চাই। পিসীমা বল্ছিলেন,—গাড়ীর সুবিধা হবে কি?
হেসে বিশ্বনাথ বল্লেন,—গাড়ীর কথা আমি ব’লে দিচ্ছি। আমি ট্রামে কি ঠিকা গাড়ী করে আফিস যাব। পিসীমার সঙ্গে তুমি যেও, আর ছেলে-মেয়েদের যাকে ইচ্ছে হয়, নিয়ে যেও!
রাত পোহাতেই কালীঘাটে যাবার ধূম প’ড়ে গেল। ছেলেমেয়েরা—যাদের স্কুল-কলেজ নেই তারা পিসীমাকে চেপে ধর্লে,তারাও যাবে। পিসীমা কুমুদিনীকে বললেন,—ওদেরই বা মনে দুঃখ থাকে কেন? আর একখানা গাড়ী ডাক্তে বল।
দু’খানা গাড়ী ক’রে সকলে কালীঘাটে গেলেন। চাঁপা ঝি পিসীমার গাড়ীর পিছনে বসেছিল।
বিশ্বনাথ যাদের যজমান—সেই হালদারদের বাড়ীতে নেমে পিসীমা কুমুদিনীকে সঙ্গে ক’রে ধূলোপায়ে কালীদর্শন করতে গেলেন। ছেলেরা গরম গরম বেগুনী কিন্তে ছুট্ল।