পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/১০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ԵՆ, রবি-দীপিত সহিত বিচ্ছিন্ন করিয়া মানুষকে দেখিতে পারি না এবং মানুষের সহিত বিচ্ছিন্ন করিয়া প্রকৃতিকে দেখিতে পারি না । কিন্তু রবীন্দ্রনাথের মধ্যে যে organic relationটির পরিচয় পাই তাহা এইরূপ যুক্তিপরম্পরার মধ্য দিয়া আসে নাই। একটি রসামুভবের দ্বার প্রকৃতির সহিত একটা গভীর প্রতিবন্ধনে রসোজ্জল ভোগোজ্জ্বল একটি অনুভূতি লইয়া কবি যাত্রা শুরু করেন। পরে ষখন প্রকৃতির ও মানুষের সহিত তাহার দ্বন্দ্ব উপস্থিত হইল, যখন গর্ভবাসের স্বৰ্গ হইতে বিচু্যত ইষ্টয়া ধরার ধূলার সহিত জীবন্মরণের যুদ্ধ বাধিল, তখনই তিনি আবিষ্কার কবিলেন যে, দ্বন্দ্ব শুধু মানুষে মানুষে বা মানুষে প্রকৃতিতে নয়, এ দ্বন্দ্ব প্রকৃতির মধ্যেও বিরাজ করিতেছে । এই দ্বন্দ্বই জীবনের রহস্য ও জীবনের লীলা । মানুষের সহিত প্রকৃতির এই গভীর সাম্য দেখিয়া প্রকৃতিব সহিত তাহার যে অজ্ঞাত প্রেমবন্ধন ছিল তাহা নবচেতনার জাগরণে নূতন বল লাভ করিল এবং সেই সঙ্গেই এই অনুভব আসিল যে, প্রকৃতি ও মানুষ লইখা একই স্বজনীশক্তিব লীল চলিযাছে । উভয়ের মধ্যে সথ্যের নিগুঢ় রহস্যটি যখন প্রকাশ হইল তখনই এই অনুভব আসিল যে প্রকৃতির লীলা মানুষের লীলার অন্তরূপ। প্রকৃতির লীলাটি ঘুমন্ত, মানুষেব লীলাটি সচেতন । সেই সঙ্গেই এ অনুভব ও ভাসিল যে, প্রকৃতি ও মানুষের এই যে সখিত্ব এই যে প্রেমবন্ধন ইহার তাৎপৰ্য্য এইখানেই যে, প্রকৃতিকে লইxাই মানুষের অনুভূতির আরস্ত, গতি ও পর্য্যবসান এবং মানুষের মধ্যে আসিয়াই প্রকৃতির সার্থকতা, মানুষের চেতনার মধ্যে আসিয়া প্রকৃতি তাহার নিজের রাজ্যকে জাগ্রত করিয়া পাইয়াছে। সেই সঙ্গে সঙ্গে উভয়ের মধ্যে এই বৈষম্যটি ৪ লক্ষিত হইল যে, প্রকৃতির মধ্যে যে স্বজনীশক্তি কাজ করিতেছে তাহা একটা সীমাপদ্ধতির মধ্যে একটা প্রাপ্তস্বরূপকে পুনঃ পুনঃ আবত্তিত করিতেছে। তাহার নূতনতার মধ্যে যথার্থ নূতনতা নাই। পুরাতনকে বরাবর ফিরিঘা ফিরিয়া পাওয়াতেই তাহার নূতনতা । কিন্তু মানুধের মধ্যে যে স্বজনীশক্তিটি কাজ করিতেছে তাহা অপ্রাপ্তকে, অনাগতকে, অপ্রত্যাশিতকে নিরস্তর উৎপন্ন করিতেছে এবং সেইজন্তই সেই স্বষ্টি যথার্থ স্বষ্টি। প্রকৃতির মধ্য হইতেও মানুষ যাহা পায় তাহাকে আপন