পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/১০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বলাকা vፃ স্বজনীশক্তির বলে নূতন করিয়া লয়। এই যে আপনার মধ্য হইতে আপন ভাণ্ডারে যাহা নাই তাহাকে মানুষ উৎপন্ন করে, এই জন্যই মানুষ ভগবানের প্রতিরূপ। প্রকৃতি ভগবানের নিকট হইতে যাহা পাইয়াছে তাহাই দান করে, কিন্তু ভগবান মানুষের মধ্যে জন্ম নিয়াছেন বলিয়া যাহা পায় নাই তাহা স্বষ্টি করে । স্বজনীশক্তির ইহাই চরম সার্থকতা । সেইজন্যই মামুষে আসিয়া স্বষ্টির শেষ। এই আলোচনা হইতে দেখা যায় যে ইয়ুরোপীয় দার্শনিকের যুক্তিবিচারের ক্রমধারার যে তথ্যে আসিয়া পৌছিয়াছেন, প্রেম ও অনুভূতির অস্তর্নিহিত অৰীক্ষাদ্বারা রবীন্দ্রনাথও প্রায় সেই একজাতীয় তথ্যেই আসিয়া পৌছিয়াছেন । রবীন্দ্রনাথের এই মতে এইখানেই আমাদের সংশয় আসে যে, যদি জীবনীশক্তির চরম লক্ষ্যই হয় গতি, জানা হইতে অজানায় ক্রমবিরোহণ, তবে তাহার মধ্যে ভালমন্দ উচ্চনীচ প্রভৃতি শ্রেয়োবোধের অবকাশ কোথায় ? তিনি বলাকার অনেক স্থলে હરે কথা বলিয়াছেন যে, আমাদের চলার আনন্দেই অামাদের চরম আনন্দ । আজ যেটা গন্তব্য, কাল সেটা গত ; আজ যে স্থান আমাদের লক্ষ্য, কাল সেখানে দাড়াইয়া আমরা বলি এখানে নাই আরও আগে । “অসংখ্য পার্থীর সাথে দিনেরাতে এই বাসা-ছাড়া পার্থী ধায় আলো-অন্ধকারে কোন পার হ’তে কোন পারে! ধ্বনিয়া উঠিছে শূন্ত নিখিলের পাথার এ গানে— “হেথা নয়, অন্য কোথা, অন্য কোথা, অন্য কোনখানে ৷” এই যে “অন্য কোথা অন্য কোথা অন্য কোনখানে” এই যে অজানার রূপ, তাহার মধ্যে শ্রেয়োমূৰ্ত্তির কোন রূপ দেখিতে পাই না। স্বজনীশক্তির তাপ দিয়াই মানুষ গঠিত। যাহা অনাগত তাহাই তাহার অপ্রাপ্ত তাহাই তাহার অন্ত কোনখান। সেই অন্য কোনখানে এবং অন্য কোনখান হইতে আরও অন্ত