পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/১০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ե Ե- রবি-দীপিতা কোনখানে মানুষ নিরস্তরই চলিতেছে । কেবলমাত্র অনাগতের অন্ত কোনখানকে মামুষের আদর্শ বলিয়া মানা যায় না । সুন্দর, কুৎসিত, ভালমন্দ সমস্তই মাতুষের স্বজনীশক্তির মধ্যে অন্য কোনখান রূপে তাহাকে আহবান করিতেছে । ষে লোভী তাহারও লোভের শেষ নাই, যে গৃং তাহার তৃষ্ণার কোন শেষ নাই। ইহাদের সকলের মধ্য দিয়াই একটা অজানার আকাঙ্ক্ষা ও আহবান প্রবল হইয়া উঠিয়াছে। আবার যে ত্যাগী, যোগী, ভক্ত, জ্ঞানী তাহারও মধ্যে আরও আরও আগে চল, “আগে কহ আর,” ইহার সন্ধান চলিয়াছে পথ চলার আনন্দই যদি চরম আনন্দ হয়, তবে এই উভয়দিকের পথিকের মধ্যে উৎকৰ্ষাপকর্ষের কোনও বিচার করা চলে না। রবীন্দ্রনাথের এই বড় জীবনব্যাপী অনুভবের মধ্যে, এই চলনশীল ধর্মের মধ্যে তিনি তাহার কাব্যে কিভাবে শ্রেয়োবোধের মধ্যাদা পরিস্ফুট করিয়াছেন, তাহা আমরা বুঝিতে পারি না। আমাদের প্রাচীনের বলিতেন, দুঃখবিমুক্তি আমাদের চরম সার্থকতা, আর সেই দুঃখবিমূক্তি আসে তৃষ্ণক্ষিয়ে ও কৰ্ম্মক্ষয়ে। রবীন্দ্রনাথ বলেন দুঃখবিমুক্তিই চরম সার্থকতা, কিন্তু সে বিমুক্তি কোন এক সুনির্দিষ্টকালে নিম্পাদ্য নহে । দুঃখ ও দুঃখ জয় উভয়ই আমার স্বভাব । এই উভয়ের মধ্যের সেতু আমাদের চরম ধৰ্ম্ম, কিন্তু দুঃখ ও দুঃখবিমুক্তি বা চরম ধৰ্ম্ম ইহার কোনটিই মামুষের পক্ষে চরম কথা নহে। মানুষের মধ্যে চরম কথা এই যে, তাহার শ্রেয়োবোধ তাহার প্রেয়োবোধের উপরে উঠিয়া সার্থকতা লাভ করিয়াছে। রবীন্দ্রনাথ শ্রেয়োবোধের দাবী মানেন না, এমন অসম্বন্ধ প্ৰলাপ বাক্য কেহ বলিতে পারেন না, কিন্তু আমাদের এই আশঙ্কা হয় যে, তিনি কেবল কালগতিতে যাহা ক্রমবিসারী, সেই সরলরেখার প্রাস্তভাগে যেন র্তাহার শ্রেয়োবুদ্ধিকে সন্নিবেশিত করিয়া দেখিয়াছেন এবং সেই জন্যই শ্রেয়োবুদ্ধির স্বতন্ত্র মধ্যাদা দিতে ভুলিয়া গিয়াছেন। দশনিকের দিক হইতে তাহার মতের বিরুদ্ধে অনেক গুরুতর অভিযোগ আনিতে পারিতাম। কিন্তু রবীন্দ্রনাথ দাশনিক বিচার করেন নাই, তত্ত্ববিচারের প্রণালীও অবলম্বন করেন নাই, সেইজন্ত যুক্তি তর্কের অবতারণা করা নিষ্ফল । কিন্তু তাহার কাব্যাহুভূতির মধ্যে শ্রেয়োবুদ্ধির