পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/১০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বলাক bళవ যথার্থ মৰ্য্যাদা দেওয়া হয় নাই, এ অভিযোগটি আমরা কেবলমাত্র অনুভূতির দিক দিয়াও আনিতে পারি। তাহার জীবনে শ্রেয় ও প্রেয়ের এমন একটা আশ্চৰ্য্য মিলন আছে, প্রকৃতির রসামুভবের মধ্যে আপনাকে অনুভব করার মধ্যে শ্রেয় ও প্রেয়ের দ্বন্দ্বের দিকটি এমন একটি কৌশলে দৃষ্টির আড়ালে চলিয়া যায় যে, কবি বোধ হয় এই বিষয়ে সচেতন হইবার অবসর পান নাই। কবি যখন বলেন, আজ প্রভাতের আকাশটি এই শিশির-ছলছ্‌ল নদীর ধাবের ঝাউগুলি ঐ রৌদ্রে ঝলমল, এমনি নিবিড় ক’রে এরা দাড়ায় হৃদয় ভ’রে তাই তো আমি জানি বিপুল বিশ্বভুবনখানি অকূল মানস-সাগর জলে কমল টলমল । প্রকৃতির প্রতিবন্ধনের মধ্যে দিয়া যখন বিশ্বের রস জীবনপাত্রে উছলিয়া উঠে তখন শ্রেয় ও প্রেয়ের ভেদ থাকে না, শ্রেয় ও প্রেয়ের দ্বন্দ্বেব কথা আমাদের লক্ষ্যের বাহিরে চলিয়া যায়। কিন্তু অজানার দিকে বিশ্বের চলনস্বভাবটা যেমন একটা গভীর সত্য, মানুষের মনের মধ্যে শ্রেয়োবোধের প্রকাশও তেমনি মনুষ্যজীবনের একই পরম মহিমাময় সত্য। মানুষ যাহা কিছু স্বষ্টি করিয়াছে তাহার মধ্যে সবচেয়ে বড় জিনিষই হইতেছে তাহার এই শ্রেয়োবোধ ; যে কোন ব্যাপক অনুভূতির মধ্যে মনুষ্যজীবনের এই পরম নূতন স্বল্পর অনুভব আমরা দেখিতে প্রত্যাশা করি। রবীন্দ্রনাথ যথার্থই বলিয়াছেন যে, তাহার চলন শেষ হয় নাই, কাজেই তাহার ধর্মও তাহার পূর্ণতায় আসে নাই। সেইজন্য আমরা আশা করি