পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/১০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

岔8 রবি-দীপিত দৈহিক ভোগে তৃপ্তি না পাইয়া কবি অনুভব করিলেন— “ধনীর সন্তান আমি নহি গো ভিখারী, হৃদয়ে লুকানো আছে প্রেমের ভাণ্ডার, আমি ইচ্ছা করি যদি মিলাইতে পারি, গভীর সুখের উৎস হৃদয় আমার ।" সেই সঙ্গে সঙ্গে তিনি মানুষের ভোগময় সৌন্দর্ঘ্যের পরিবর্তে প্রকৃতির অনন্ত সৌন্দর্ঘ্যের মধ্যে প্রবেশলাভ করিবার জন্য উৎসুক হইয়া উঠিলেন। “ক্ষুদ্র আমি জেগে আছি ক্ষুধা লয়ে তার, শীর্ণ বাহু আলিঙ্গনে আমারেই ঘেরি, করিছে আমারে হায় অস্থি চৰ্ম্ম সার ? কোথা নাথ কোথা তব সুন্দর বদন কোথায় তোমার নাথ বিশ্বঘেরা হাসি, আমায় কাড়িয়া লও করগো গোপন “আমারে তোমার মাঝে করগো উদাসী ।” বাসনার বন্ধনের মধ্য হইতে বহিজগতের অনন্তের মধ্যে আপনাকে মুক্ত করিতে কবির মধ্যে যে তুমুল আন্দোলন চলিতেছিল তাহারও আমরা পরিচয় পাই । “বাসনার বোঝা নিয়ে ডোবে ডোবে তরী, ফেলিতে সরে না মন উপায় কি করি।” বাহিরের প্রকৃতির মধ্যে যে একটী অসীম প্রেমের আদান প্রদান চলিয়াছে তাহার একটা ক্ষীণ আভাস “কড়ি ও কোমলে’ দেখা যায়।

  • ধ্বনি খুজে প্রতিধ্বনি, প্রাণ খুজে মরে প্রতি প্রাণ, জগৎ আপনা দিয়ে খুজিছে তাহার প্রতিদান ।