পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/১০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীন্দ্রসাহিত্যে কান্ত প্রেম ఏ(t অসীমে উঠিছে প্রেম, শুধিবারে অসীমের ঋণ— যত দেয় তত পায়, কিছুতে না হয় অবসান। যত ফুল দেয় ধরা তত ফুল পায় প্রতিদিন যত প্ৰাণ ফুটাইছে ততই বাড়িয়া উঠে প্ৰাণ । যাহ আছে তাই দিয়ে ধনী হয়ে উঠে দীন হীন, অসীম জগতে একি পিৰীতির আদান, প্রদান ?” কিন্তু এই অনন্ত জীবন কোথায়, সে সম্বন্ধে কবির মনে তখনও কোন স্পষ্ট ধারণা জাগ্রত হয় নাই— “প্রাণ দিলে প্রাণ আনে,—কোথা সেই অনন্ত জীবন ! ক্ষুদ্র আপনারে দিলে, কোথা পাই অসীম আপন, সে কি ওই প্রাণহীন অন্ধ অন্ধকারে !” “মানসী"র প্রথম কবিতাটির নাম উপহার। এই কবিতাটির তাৎপৰ্য্য এই ষে বাহিরের জগতের নানা তরঙ্গ আসিয়া আমাদের অস্তরের দ্বারে সর্বদাই আঘাত করিতেছে, এবং সেই আঘাতেব ফলে আমাদের মনের মধ্যে নানা বাসনা আকাঙ্ক্ষা প্রভৃতি জাগ্রত হইয়া উঠে। বাহিরের জগতের সহিত সম্পর্কে আসিয়া মনের মধ্যে এই যে সীমাহীন জাগরণ উদ্বোধিত হয় ভাষার সীমার মধ্য দিয়া প্রীতির স্পর্শ দিয়া মূৰ্ত্তিমতী ধর্মের কামনাকে বিচিত্রতার মধ্য দিয়া প্রকাশ করাতে কবির একান্ত মুখোচ্ছাস ও সৰ্ব্বশ্রেষ্ঠ প্রাণের বিকাশ । কেবলমাত্র বাহিরের গন্ধ-গান-দৃশ্বের মধ্যে যখন আমরা আমাদিগকে ছড়াইয়া দেই তখন এ অস্তরের নিগূঢ় জাগরণের সহিত আমাদের যে বিচ্ছেদ আসে সেই বিচ্ছেদের দুঃখে আমরা অভিভূত হই। “সেই মোহ মন্ত্র গানে কবির গভীর প্রাণে জেগে ওঠে বিরহী ভাবনা।” সেই বিরহের আক্রদনে মৰ্ম্মের কামনা তাহার আপন অন্তঃপুর লোক