পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/১১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S$9 রবি-দীপিতা পরিত্যাগ করিয়া ভাষার আবরণ লইয়া বহির্জগতের গন্ধগান দৃশ্বকে আপন অস্তরের ছন্দে প্রকাশ করে । এমনি করিয়া বাহির ও ভিতরের যে বিরাম হয় তাহাতেই কবির চরমপ্রাপ্তি ও চরম আনন্দ । ‘কড়ি ও কোমল”এর মধ্যে দেখা গিয়াছিল যে ভোগের মধ্যে একটী ভোগাতীত বিরাগ অাপন ক্ৰন্দনের স্বরে কবির চিত্তকে আপ্লুত করিয়াছে। উহার কবিতাগুলির মধ্যে কবি ভোগসুখের আক্রদনের সমস্ত পূরণ করিয়াছেন। বাহিরের ভোগে লিপ্ত থাকিলে অস্তরের ক্ষুধা মিটে না, বাহিরের ভোগ যে সাড়া দেয় তাহাতে আমাদের অন্তর জাগিয়া উঠে । অন্তরের এই আত্মজাগরণের বাৰ্ত্তাকে যখন আমরা বাহিরের ইন্দ্রিয়লোকের অনুভবের মধ্য দিয়া ভাষার সাহায্যে প্রকাশ করি, তখনই অন্তরের অসীম আকাজক্ষ আবেগ বা আৰ্ত্তি সীমার মধ্য দিয়া আপনাকে প্রতিফলিত করিয়া আত্মপরিচয় লাভ করে এবং এই উপায়ে অন্তর বাহিরের যে মিলন ঘটে তাঁহাতেই ভোগ প্রজলিত অস্তর্লোক অসীমের মধ্যে দিশহারা না হইয়া সীমার মধ্য দিয়া আপনার পথ খুজিয়া লয়। অন্তর্লোকের অপূর্ণ নিঃসীমতা আর্টের মধ্যে আসিয়া ক্রমশঃ সীমার মধ্যে আত্মপ্রকাশ লাভ করিয়া সার্থকতার পদবীতে আরোহণ করিতে থাকে। এই রকম পদ্ধতিতে রবীন্দ্রনাথের চিন্তাধারার ষে নৰীন অভু্যদয় হইল, তাহারই ফলে রবীন্দ্রনাথ ভোগ হইতে বৈরাগ্যের অনুসরণ করিয়া ধৰ্ম্মসাধকের চিরক্ষুণ্ণ পথ অনুসরণ না করিয়া খণ্ডের মধ্য দিয়া সীমার মধ্য দিয়া অসীম আত্মপ্রকাশের, আত্মসঞ্চরণের, আত্মাভিমানের বেগকে সীমার মধ্য দিয়া প্রকাশ করিয়া আপনাকে পূর্ণতার পথে প্রচালিত করিলেন। কিন্তু ‘মানসী’ লিখিবার সময়ে কবির মনোভাব ও মানস অভিযানের বেগ কোন স্কুটতা অবলম্বন করে নাই। র্তাহার নিঃসীমতা অনির্দেশ্বের ও অব্যক্তের নিঃসীমতা ! তাহার মধ্যে আৰ্ত্তি আছে, চাঞ্চল্য আছে, বেদনা আছে কিন্তু মূৰ্ত্তি নাই ; সেজন্ত দেখিতে পাওয়া যায় যে মানসীর কবিতাগুলির মধ্যে যে চিত্রগুলি কবি ফুটাইয়া তুলিয়াছেন সেগুলির মধ্যে বহির্ভোগ ও ইন্দ্রিয়জভোগ, অস্তর্ভোগের ও মানসভোগের দ্বারা আবিষ্ট হইয়াছে মাত্র । কড়ি ও কোমলের কবিতার মধ্যে