পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/১১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

లి లి রবি-দীপিত “অ’াখির অপরাধ” কবিতাটিতে কবি বলিতেছেন যে তিনি বাসনার দৃষ্টি দিয়া তাহার প্রেমের পাত্রীটিকে দেখিয়া তাহাকে কলুষিত করিয়াছেন। ইন্দ্রিয়ের দ্বার দিয়া তাহার প্রেমের পাত্ৰী জীবনের মূলে প্রবেশ করিয়াছেন বলিয়া ইন্দ্রিয়ের ভোগকৃষ্ণা দ্বারা সেই মূৰ্ত্তি অপবিত্র হইয়াছে। ইন্দ্রিয়কে পরিত্যাগ করিয়া শুধু অস্তরের মধ্যে সেই মূৰ্ত্তি দেদীপ্যমান থাকিলে তাহ সেই সীমাকে উত্তরণ করিয়া অস্তরের মধ্যে অসীমরূপে বিরাজ করিবে । “লহ মোরে তুলে আলোকমগন মূরতি ভূবন হতে অ’াখি গেলে মোর সীমা চলে যাবে একাকী অসীমভর। আমারই অাধারে মিলাবে গগন মিলাবে সকল ধরা ।” তাহার পরেই বলিতেছেন— “তবে তাই হোক, হয়ে না বিমুখ, দেবি, তাহে কিবা ক্ষতি, হৃদয়-আকাশে থাক না জাগিয়া দেহহীন তব জ্যোতি ! বাসনা মলিন অণথি কলঙ্ক ছায়া ফেলিবে না তায়, অণধার হৃদয় নীল-উৎপল চিরদিন র’বে পায়, তোমাতে হেরিব আমার দেবতা, হেরিব আমার হরি, তোমার আলোকে জাগিয়া রহিব অনন্ত বিভাবী।” “অনন্তপ্রেম” কবিতাটিতে কবি অনুভব করিয়াছেন যে দুইটি নরনারীর প্রেমের মধ্যে সমস্ত নিখিলের প্রাণের প্রীতি ও বেদন প্রকট হইয় উঠে। “নিধিলের মুখ নিখিলের দুখ নিখিল প্রাণের প্রীতি ; একটি প্রেমের মাঝারে মিশিছে সকল প্রেমের স্মৃতি, সকল কালের সকল কবির গীতি।” ‘মেঘদূত’ কবিতাটিতে দেখা যায় যে রবীন্দ্রনাথ কল্পনা করিতেছেন যে কালিদাস দুইটি নরনারীর বিরহের মধ্যে বিশ্বের নরনারীর বিরহকে যেন পুঞ্জীভূত