পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/১১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৯২ রবি-দীপিত “মানসী" পড়িলে দেখা যায় যে পঙ্কলোকের মধ্যে যে মৃণালাকুর উৎপন্ন হইয়াছিল তাহা ক্রমশঃ মনের চঞ্চললোকের মধ্য দিয়া নানা রূপে আপনাকে শুভ্র হইতে শুভ্রতর করিয়া প্রকাশ করিয়া চলিয়াছে। সংস্কৃত কাব্য পড়িলে দেখা যায় যে, কালিদাস প্রভৃতি অনেক কবির মধ্যেই নারীর প্রেম অধিকাংশ স্থলেই নিছক ঐন্দ্রিয়জ কামরূপে ফুটিয়া উঠিয়াছে। প্রেমিকের অস্তরের বাসনার কোন পরিচয় সেখানে তেমন পাওয়া যায় না, যেমন পাওয়া ধায় কামুকের দেহ-লালসা, তাই ভালবাসার আকাঙ্ক্ষাটি সেখানে কামের আকাজক্ষ রূপে পরিচয় পায়। তাই অধিকাংশ প্রেমের কবিতাই রূপ-বর্ণনা ও শরীর-বিকাশের বর্ণনাতে পরিপূর্ণ। বিরহের উত্তাপ কামের দেহজ উত্তাপরুপে আত্মপ্রকাশ করে ও প্রেমিকের নিকট তাহার প্রেমাম্পদার চিত্র লালসার বর্ণে রঙ্গীন হইয়া দেখা দেয় । কথায় কথায়ই মদনবাণেব আঘাতের কথা শুনিতে পাই। শকুন্তলার প্রথম-দর্শনে রাজা দুৰ্যন্ত "অনাঘ্ৰাতং পুষ্পম্‌” “মধুনবমনাস্বাদিতরসমূ” বলিয়া আরম্ভ করিয়াছেন এবং কি উপায়ে সেই রূপকে ভোগ করিবেন এই চিন্তা লইয়াই তাহার মন ব্যস্ত । ভ্রমরভীতা শকুন্তলাকে দেখিয়া “পিবসি রতিসৰ্ব্বম্বমধরম্ এই কথাটা মনে হইয়াছে। রাজা দুস্তস্তের শকুন্তলার প্রতি লালসা এমন প্রবল যে প্রথম দর্শনের সামান্য পরিচয়েই তিনি “স্থানাদনুচ্চলন্নপি গবেব পুনঃ প্রতিনিবৃত্ত:” । তৃতীয় অঙ্কে মদন ক্লিষ্টা শকুন্তলাকে দেখিয়াও রাজার মুখে সেই রূপ বর্ণনা “ক্ষাম-ক্ষাম-কপোলমাননমুর: কাঠিন্তমুক্তস্তনং মধ্য ক্লান্ততর: প্রকামবিনতাবংসেী-ছবি পাণ্ডুরা।” কবি নরসিংহ বিরহ বর্ণনা করিতে গিয়া বলিয়াছেন— “তে জঙ্ঘেজঘনঞ্চ তত্ততুদরং তোঁচ স্তনে তৎস্মিতং স্বক্তি: সা চ তদীক্ষণোৎপলযুগং ধৰ্ম্মিল্লভার সচ লাবণ্যামৃতবিদূর্ষি বদনং তচ্চৈবমেনীৰ্দশ স্তস্তান্ত বয়মেকমেবসকুদু ধ্যায়স্ত এবাস্মহে ।”