পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/১১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ববীন্দ্রসাহিত্যে কান্ত প্রেম Se 6: “কড়ি ও কোমল” হইতে মানসীতে রবীন্দ্রনাথের মনের যে পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায় তাহাতে দেখা যায় যে ইন্দ্ৰিয়জ আকাজক্ষ বা কাম হইতে র্তাহাব চিত্ত মনোভূমিতে আরোহণ করিয়াছে। তিনি অনুভব করিয়াছেন যে প্রেম দেহজরূপের অপেক্ষা করে না । প্রেমের দেহহীন জ্যোতি বাসনার মালিন্ত হইতে মুক্ত হইয়া হৃদরের নীলোৎপলের মধ্যে প্রেমিকেব দেবতাস্বরূপ হইয়া বিরাজ করে। তিনি অনুভব করিয়াছেন যে দুইটি প্রাণের প্রীতির মধ্যে সমস্ত বিশ্বপ্রেমের একটি চিরজাগরণ সম্পন্ন হইতে পারে। অলকাপুব নিবাসিনীর জন্য বিরহী যক্ষের হৃদয়ের আৰ্ত্তির মধ্যে তিনি সমস্ত বিশ্বের প্রেমিকদের আক্ৰন্দন শুনিতে পাইয়াছিলেন । তিনি অনুভব কবিয়ছিলেন যে দেহেব সীমারেখার মধ্যে প্রেম যখন আপনাকে অবসন্ন কবিয়া ফেলে তখন সে প্রেমের মর্য্যাদা নষ্ট হয় । দেহকে ভুলি গিয়া একজন যখন অপরের হৃদয়ের মধ্যে আপনাকে সীমাইনরূপে প্রকাশ করে তথন সেই উভয়ের অঙ্গহীন মিলনের মধ্যে সীমার পর্য্যাপ্তি ও ক্লাস্তি নাই। সেই মিলনের পথ কোথাও বাধাগ্রস্ত হইয়া যায় না । তাহা দেশকালের সীমাকে অতিক্রম কবিয়া আত্মাতৃভূতির অনন্ত অবাধিত পথে ধাবমান হয় । সংস্কৃত কাব্য পৰ্য্যালোচনার সময়ে প্রেমের আস্তর ভোগের কথা কেবল মাত্র ভবভূতির মধ্যেই দেখিতে পাওয়া যায়। কিন্তু প্রেমেব আন্তৰ ভোগের মধ্যে যে একটা এমন বিরাট পরিণতি আছে যাহাতে বিশ্বের মিলন-রসের সন্ধান পাওয়া যায় তাহার কোন পরিচয়ই তাহার মধ্যে পাওয়া যায না। আত্মার নিভৃত গুহার মধ্যে অঙ্গহীন মনসিজের যে একটি অদ্বৈত মুখদুঃখের বিকারহীন সৰ্ব্বাবস্থায় একরূপ প্রেমেব সন্ধান পাই সেখানে উভয়ের মধ্যের আবরণ অপসারিত হইয় অনন্ত স্নেহরস উপচিত হইয় উঠে । ভবভূতিতে এই রসের পবিচয় পাওয়া যায় কিন্তু তাহার মধ্যে বিশ্বের মিলন রসের যে একটি সম্ভোগ আপনাকে প্রকাশ করিয়া তুলে, তাহার পরিচয় পাওয়া যায় না। সংস্কৃত কাব্যের মধ্যে প্রধানত: প্রেমের চারিট স্তর দেখিতে পাওয়া যায়। একটি নিছক ভোগরসের লালসায় পরিপূর্ণ এবং দেহের সৌন্দৰ্য্যকে লইয়া ব্যস্ত এবং এইটিই অত্যন্ত ব্যাপকভাবে দেথা যায় । কালিদাসের অনেক