পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

lose এই পরিচয় সম্বন্ধের ফলে একদিকে যেমন রস উৎপন্ন হয়, অপরদিকে তেমনি জ্ঞানের দিকের, প্রবৃত্তির দিকের, কৰ্ম্মেব দিকের, নানা অভিব্যঞ্জনায় সমালোচকের চিত্ত ভাবময়, প্রকাশময় হই উঠে। পৃথিবীর সৌন্দৰ্য্যকে কবি যখন আমাদের কাছে ফিরাইয়া দেন, তখন তাঙ্গ হইতে অনেক মহত্তররূপে তাহা বিতরণ করেন। তিনিই আদশ সমালোচক, যিনি কবির দানের মহত্ত্বকে মহত্ত্বস্বরূপ ফুটাইয়া তুলিতে পাবেন। এরূপ আদর্শ সমালোচক পাওয়া কঠিন, কিন্তু তথাপি আদর্শকে থৰ্ব্ব করা যায় না । কিন্তু সমালোচনের এখানে একটি সীমারেখা আছে, যে তাহী কবির সমগ্ৰ বাব্যের অতুগত হইবে ও তাহার তাৎপৰ্য্যকে প্রকাশ করিবে । এই আহুগত্যকে অবঙ্গেল করিয়া কেবল ব্যোমমার্গে বিচরণ করিবার অধিকার সমালোচকের নাই। কিন্তু এই আনুগত্যকে রক্ষা করিয়া সমালোচকের রচনা একদেশস্থ হইয়াও কবির সমগ্র কাব্যকে যখন প্রদীপের ন্যায় অভিপ্রদীপ্ত করিয়া তোলে, তখন সেক্ট অভিপ্রদীপ্তির ফলে যদি কবির কাব্যের সঙ্গতিতে তাহার তাৎপৰ্য্য স্বরূপটি বিচিত্র ব্যঞ্জনায় ব্যাপকতর ও উত্তানদীর্ঘ হইয়া উঠে, তবেই সমালোচকেব রচনা সর্থিক হইবে । কবির মধ্য দিয়া কবির সহিত একাত্মযোগে সমালোচক,তাহাব আত্মপরিচয় দিয়া থাকে। কবির কাব্য বিশ্লেষণ করিলে তাহাতে পাওয়া যায় শব্দ, অর্থ, এই উভয়ের সন্নিবেশবৈচিত্র্যে ছন্দ, উপমা ও ধ্বনি । ধ্বনি প্রধানত: দ্বিবিধ, বস্তুব্বনি ও রসধ্বনি । রসধ্বনি লইয়া কোন ও সমালোচনা চলে না। তাহা দুইটি সমগ্রপুরুষীয় পরিচয়ের দ্রবীভাবে হৃদয়ের ফুৰ্ত্তি মাত্র । বিশ্লেষণে তাহাকে পাওয়া যায় না । তাহা একান্ত সাজঘটিক বা synthetic । কিন্তু রসধবনির ভিত্তিস্বরূপে যেখানে একটি জ্ঞান-প্রক্রিয়া থাকে, একটি মৰ্ম্মকথা বা তত্ত্বদৃষ্টি থাকে, সমালোচক তাহাকে পরিস্ফুৰ্ত্ত করিতে পারে না । সুধী সমাজে অনেকদিন হইতে এই একটি দ্বন্দ্ব চলিয়াছে, যে কাব্য বুঝিবার জন্য সমালোচনের আবশ্বক আছে কি না। চিন্তা করিম দেখিলে বুঝা যায় যে, এই দ্বন্দ্ব অনেক পরিমাণে নির্মুল, কারণ রস বুঝাইতে যদিও সমালোচনের আবগুক নাই, তথাপি বস্তুধ্বনি বুঝাইতে, কাব্যের