পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/১২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S* রবি-দীপিত প্রাচীন সংস্কৃত সাহিত্যে প্রেমের এই স্তরের নিদর্শন অতি বিরল। রামসীতার বিরহে দেখিতে পাই যে সীতাকে যখন আশ্রমে ফিরিয়া আসিয়া রাম দেখিতে পাইলেন না, তখন রামের চিত্তে প্রথমে দারুণ দুঃখ উৎপন্ন হইল । তিনি বলিলেন, “স্বগোহপি হি ত্বয়া হীন শূন্ত এব মতো মম..নত্বহং তাং বিনসীতাং জীবেয়ং হি কথঞ্চন” । সীতাছাড়া স্বৰ্গও শূন্ত এবং সীতা ছাড়া আমি আর বঁচিব না। সীতার বিয়োগদুঃখে রামচন্দ্রের চিত্তে অন্য সমস্ত দুঃখ উথলিয়া छेठिल, “রাজ্যপ্রণাশ: স্বজনৈর্বিয়োগ: পিতুর্বিনাশো জননীবিয়োগ: সৰ্ব্বণি মে লক্ষ্মণ শোকবেগম আপুরয়ন্তি প্রবিচিস্তিতানি ॥” তারপর আরম্ভ হইল সীতার অন্বেষণ । অন্বেষণে বিফলমনোরথ হইয়া রামের চিত্ত ক্রোধে জলিয়া উঠিল। তিনি বলিয়া উঠিলেন— ‘বিনির্মথিতশৈলাগ্ৰং শুধুমাণজলাশয়ম্ ধ্বস্তক্ৰমলতাগুল্মং বিপ্রণাশিতসাগরম। ত্ৰৈলোক্যং তু করিয়ামি সংযুক্তং কালকৰ্ম্মণ। নতে কুশলিনীং সীতাং প্রদাশুস্তি মমেশ্বরা; ॥” লক্ষ্মণ রামকে অনেক বুঝাইয়া বলিলেন, তখন রামের ক্রোধ শাস্ত হইল। পম্পাসরোবরের তীরে আসিয়া রামচন্দ্রের শোক স্নিগ্ধতাপন্ন হইয়া আবার তাহাকে চঞ্চল করিয়া ফেলিল ।

  • যানি স্ম রমণীয়ানি তয়া সহ ভবস্তি মে। তান্ত্যেবারমণীয়ানি জায়স্তে মে তয়াবিন! ॥ পদ্মকোশ-পলাশানি দ্রষ্টুংদৃষ্টিহি মন্ততে। সীতায়াঃ নেত্রকোশাভ্যাং সদৃশানীতি লক্ষ্মণ । পদ্মকেশরসংস্পৃষ্টো বৃক্ষান্তর বিনি:স্বত: । নিশ্বাস ইব সীতায় বাতি বায়ুর্মনোহর; ॥”