পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/১২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীন্দ্রসাহিত্যে কান্ত প্রেম 为为金 যাতা; কিন্ন মিলস্তি সুন্দরি। পুনশ্চিন্তা ত্বয়া মংকুতে নো কাৰ্য্যা নিতরাং কৃশাসি কথয়ত্যেবং সবাম্পে ময়ি ! লজ্জামস্থবতারকেণ নিপতঙ্কাবাশ্রণা চক্ষুষা । দৃষ্টা মাং হসিতেন ভাবিমবণোৎসাহস্তয়া স্থচিত: | আমি যখন সাশ্রনয়নে তাহাকে বলিলাম যে তুমি বড় রুগ্ন হইয়াছ আমার জন্য চিস্তা করিও না, বিচ্ছেদের পর কি আর মিলন হয় না, তখন তাহার চক্ষু দিয়া ধারাপ্রবাহে অশ্রু নিপতিত হইতে লাগিল, লজ্জায় চক্ষু-তারকা মন্থর হইয়া উঠিল এবং আমার দিকে তিনি এমন করিয়া হাসিয়া তাকাইলেন যে আমার বিচ্ছেদে তাহার বঁচিবাব সম্ভাবনা নাই । ইন্দ্রিয়জ সম্ভোগ, ইন্দ্ৰিযজবতি বা শাবীব আকর্ষণ ছাড় অস্তিররতি বা আস্তব আকর্ষণের কথা সংস্কৃত সাহিত্যের কোন কোন স্থলে দেখিতে পাওয়া ষায় বটে, কিন্তু সেই আন্তরপ্রীতি মানুষের সর্বাপেক্ষ গভীরতমস্বরূপে আত্মোপলব্ধিরূপে কোথাও কোন প্রাচীন সংস্কৃত-সাহিত্যে বর্ণিত আছে বলিয়া মনে হয় না। একাদশ বা দ্বাদশ শতাব্দী পৰ্য্যস্ত যে সমস্ত ভক্তিশাস্ত্রের উল্লেখ পাওয়া যায় তাহাতেও ভক্তিকে প্রেমরূপে তাহার মাধুৰ্য্য-রসের মধ্যে উপলব্ধি কবিতে দেখা যায় না । ভক্তি বলিতে কেবলমাত্র ভগবানের ধ্যান বা তদৰ্থে আত্মনিবেদন, কৰ্ম্মনিবেদন, অবিচ্ছিন্ন তৈলধারার ন্যায় তাহার অমুস্মরণ এইটুকুমাত্র দেখা যায়। প্রেমে গদ-গদ হইবা নৃত্য-গীতের কথা শ্ৰীমদ্ভাগবতের দুইএকটি স্থানে দেখা যায় ! মানুষের মধ্যে প্রেম তাহার শাবীর-ক্লেদবজ্জিত হইয়া কেবলমাত্র আত্মরতির মধ্যে স্থান পায় নাই, এই জন্যই ভগবৎপ্রেমের মাধুর্য্যের মানুষ-আস্বাদ প্রাচীন বৈষ্ণব-সাহিত্যে তেমন ফুটিয়া উঠিতে পারে নাই। চণ্ডীদাসের মধ্যে আসিয়া আমরা দেখিতে পাই যে মানুষের অনুভব একটি সৰ্ব্বোচ্চ পদবীতে আরোহণ করিয়াছে। চণ্ডীদাস বলিতেছেন “সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই।” দুইটি নরনারীর মধ্যে যে প্রীতি কামগন্ধহীন হইয়া, আপনার মাধুর্ঘ্যে মানুষের চিত্তকে প্লাবিত করে তাহার মধ্যেই মানুষের শ্রেষ্ঠ প্রাপ্তি। এই প্রেমের গুণে পুরুষ ও নারী উভয়ে পরস্পরের আত্মভূত বলিয়া মনে করে এবং