পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

به رم | পঞ্জীভূত সত্যকে বুঝাইতে সমালোচনের যথেষ্ট প্রয়োজন আছে। যে কাব্য কেবলমাত্র রসধবনি লইয়া ব্যস্ত, যাহাতে বস্তুধ্বনি অত্যস্ত শিথিল, সে কাব্যের আলোচন বাগাড়ম্বর মাত্র। রবীন্দ্রনাথের কাব্য সম্বন্ধে একথা থাটে না । কারণ রসধ্বনির মৰ্ম্মস্বরূপ হইয়া যে বস্তুধ্বনি ফুটিয়া উঠিয়াছে, তাহাকে বিঘটন বা analysisএর দ্বারা লোক-লোচনের সম্মুখে না আনিলে সেই বস্তুধ্বনির অনুগত রসধ্বনিও ফুট হইয়া উঠিতে পারে না এবং সেইজন্য রসপ্রতীতির অস্ফুটতা ও বিলম্ব একরূপ অনিবাৰ্য্য। রবীন্দ্রনাথের জীবনটি কাব্যলীলায় ফুটিয়া উঠিয়াছে সেজন্য র্তাহার কাব্যগুলির সহিত পরস্পর একটি নিগূঢ় একান্বয় সম্পর্ক রহিয়াছে। এই একান্বয় সম্পর্ককে না বুঝিতে পারিলে কবির সমগ্র-পুরুষীয় অনুভবের সহিত পরিচয় দুর্ঘট এবং সেইজন্য যে সমালোচক কবির কাব্যগুলিকে একান্বয়ে প্রকাশ করিতে চেষ্টা করেন তিনি যে কেবল বস্তুধ্বনিকে, তত্ত্বদৃষ্টিকে, কবির পঞ্চরীভূত সত্যকে প্রকাশ করেন তাহা নয়, কবির কাব্যের রসাস্বাদেরও প্রচুব অল্পকূলতা করেন । রবি-প্রভব কাব্যকে আমার অল্পবিষয় মতির দ্বারা প্রকাশ করিতে পারিব এই দুরাশা লইয়া এই সমালোচনগুলি লিখিত হয় নাই। র্তাহার কাব্য পড়িয়া মনে যে স্পন্দন আসিয়াছে, আমারই চিত্তবিনোদনের জন্য তাহ লিপিবদ্ধ করিয়াছি । ইহা রবীন্দ্রনাথের প্রকাশের দীপিকা নহে কিন্তু রবীন্দ্রনাথের দ্বার চিত্তের যে উদ্দীপনা অনুভব করিয়াছি তাহারই ক্ষণস্থায়ী ফুলিঙ্গ মাত্র। হয়ত রবীন্দ্রনাথকে স্থানে স্থানে বুঝিয়াছি, হয়ত বুঝি নাই! কতটুকু বুঝিয়াছি, কতটুকু বুঝি নাই, তাহ পাঠকেরা বিচার করিবেন। রবীন্দ্রনাথ সম্বন্ধে অনেক প্রবন্ধ মাসিকপত্রে লিখিয়াছি। প্রথম দুইটি প্রবন্ধ প্রায় বিশ বৎসর পূর্বে প্রবাসীতে প্রকাশিত হইয়াছিল। তখন আমি চলতি ভাষায় লিখিতাম, সেইজন্য এই দুইটি প্রবন্ধের সহিত অন্য তিনটি প্রবন্ধের ভাষাগত অমুযোগিতা নাই। রবীন্দ্রনাথ সম্বন্ধে প্রেসিডেন্সি কলেজের রবীন্দ্রপরিষদে পাচ বৎসর ধরিয়া অনেক কথা বলিতে চেষ্টা করিয়াছি, নানা মাসিকপত্রে অনেক