পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/১৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীন্দ্রসাহিত্যে কান্ত প্রেম ))● কিন্তু নবনারী-প্রেমের মধ্যে বিশ্ব জগতের প্রীতিরস মিলিত হয় ইহা ভাবতীয় চিন্তা-প্রণালীর সম্পূর্ণ অমুগত নহে । সমস্ত জগৎ হইতে, শরীর হইতে পৃথক হইয়া আত্মাতে বিশ্রাম লাভ করিব ও আত্মার স্ফূৰ্ত্তিব মধ্যে আপন চরম সার্থকতা লাভ কবিব ইহাই ভারতীয় চিন্তার প্রধান ও চরম উদেশ্ব। সেইজন্য কাব্যানন্দ সম্বন্ধেও যে সমস্ত আলোচনা হইয়াছে তাহাতেও দেখা যায় যে কাব্যের চবম সার্থকতা একটি আস্তর বসফুৰ্ত্তিব মধ্যে । কাব্যেব চবম উদেখা “সত্ত্বোদ্রেকাদথগুস্বপ্রকাশানন্দচিন্ময়ঃ বেদ্যাস্তবম্পশশূন্ত: ব্রহ্মাস্বাদসহোদবঃ ” ব্ৰহ্মম্বাদসহোদব যে বস তাহাব পবম পবিস্ফুৰ্ত্তিতেই কাব্যেব চবম সফলতা। এমন কি ইন্দ্রিযুজ রূপ, স্পর্শ বা সুবলহবীব শ্রবণেব মধ্য দিযা ও ব্রহ্মস্বাদকে প্রত্যক্ষ কবা যায়, এ কথা শৈবশাস্ত্রে উল্লিখিত আছে। বিজ্ঞান ভৈববেও লিখিত আছে— “ক্রোধাদ্যন্তে ভয়ে শোকে গহববে বাবণে বণে কুতূহলে ক্ষুদাদ্যস্ত ব্ৰহ্মসত্তাসমীপগ৷” দারুণ ক্ৰোধ ভয় শোক প্রভৃতি স্থলে মনেব যে মৃঢ়তা আসে তাহার মধ্যে ব্রহ্ম-সত্তা আপনাকে প্রকাশ করে। অর্থাৎ যে কোন উপায়ে মানুষ যখন নিজেব মধ্যে নিশ্চল হয় তখনই তাহার পবম প্রাপ্তি। ক্রোধান্ধ চিত্তভূমিতে সেই ব্যাপ্তি স্থায়ী হয় না বলিয়া ক্রোধাদিকে কোন সাধনপদ্ধতি বলিয়া নির্দেশ কবা হয় নাই । তথাপি শ্ৰীমদ্ভাগবং পড়িলে দেখা যায় যে, শিশুপাল দারুণ ঈর্ষায জর্জরিত হইয়াছিলেন এবং সেই ঈর্ষা ও ক্রোধের আতিশয্যেই তাহার মুক্তি হইয়াছিল। “উক্তং পুর্বস্তাদ এতং তে চৈদ্যঃ সিদ্ধিং যথা গতং দ্বিষন্নপি হৃষিকেশং কিমুতাধোক্ষজস্ক্রিয় ।” "কামং ক্ৰোধং ভয়ং স্নেহং ঐক্যং সৌহাৰ্দ্দমেবচ নিত্যং হরৌ বিদধতা যাত্তি তন্ময়তাং হিতে ”