পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/১৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীন্দ্রসাহিত্যে কাস্ত প্রেম ১২৩ মহাভারতের চিত্রাঙ্গদার উপাখ্যানে দেখা যায় যে, অজুন সমুদ্রতীরবর্তী মণিপুরের রাজা চিত্রবাহনের কন্যা চারুদৰ্শন চিত্রাঙ্গদাকে নগরের মধ্যে যদৃচ্ছাক্রমে ভ্রমণ করিতে দেখিয় তাহার পিতার নিকট গমন করিয়া তাহাকে প্রার্থনা করিয়া বিবাহ করিলেন। কাশীরামও এই বিবরণ রাখিয়াছেন । কিন্তু রবীন্দ্রনাথের “চিত্রাঙ্গদা” নাট্যে দেখা যায় যে কুরূপা চিত্রাঙ্গদা প্রথমতঃ ধমু:শরহস্তে পুরুষের বেশে বিচরণ করিতেন। পরে একদিন অৰ্জ্জুনকে দেখিয়া তাহার চিত্তে নারীসুলভ ভাব উদিত হওয়ায় কঙ্কনকিঙ্কিণী কাঞ্চী পরিধান করিয়া অৰ্জ্জুনকে পতিরূপে প্রার্থনা করিয়াছিলেন । অৰ্জ্জুন উত্তর করিলেন— ‘ব্রহ্মচারী ব্রতধারী অামি । পতিযোগ্য নহি বরাঙ্গনে ৷” পরে চিত্রাঙ্গদা মদন ও বসস্তের তপস্যা করিলেন এবং তাহদের বরে তাহার কুরূপ দূর হইয়া গেল, এক বৎসরের জন্য তিনি অপূৰ্ব্ব স্বন্দরী হইলেন। অর্জুন সেই রূপ দেখিয়া মুগ্ধ হইলেন এবং তাহার ব্রহ্মচৰ্য্য পরিত্যাগ করিয়া চিত্রাঙ্গদাকে বিবাহ করিতে অভিলাষী হইলেন । তাহার উত্তরে চিত্রাঙ্গদা বলিতেছেন— “কোথা গেল প্রেমের মর্য্যাদা, কোথায় রহিল পড়ে, নারীর সম্মান ! হাঃ, আমারে করিল অতিক্রম আমার এ তুচ্ছ দেহখানা মৃত্যুহীন অস্তরের এই ছদ্মবেশ ক্ষণস্থায়ী ! এতক্ষণে পারিনু জানিতে মিথ্য খ্যাতি বীরত্ব তোমার ” অৰ্জ্জুন উত্তর করিলেন— “খ্যাতি মিথ্যা, বীর্য মিথ্যা আজি বুঝিয়াছি। 米 熹 岑