পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/১৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

う、8 রবি-দীপিত চারিদিক হ’তে দেবের অঙ্গুলী যেন দেখায়ে দিতেছে মোরে, ঐ তব আলোক-আলোক মাঝে কীৰ্ত্তি-ক্লিষ্ট জীবনের পূর্ণ নিৰ্ব্বাপণ ।” চিত্রাঙ্গদা ও অৰ্জ্জুনের বিবাহ হইল। রূপতৃষ্ণার বহিতে অর্জুনের পক্ষ দগ্ধ হইল। কিন্তু তাহাতে চিত্রাঙ্গদার মনে তৃপ্তি নাই। তাহার অস্তরের নারীর ক্ৰন্দন তাহাতে কমে নাই— “পুষ্পদল সম, এ মায়। লাবণ্য মোর ; অন্তরের দরিদ্ররমণী, রিক্তদেহে বসে রবে চিরদিন রাত। মীনকেতু কোন মহা রাক্ষসীরে দিয়াছ বাধিয়া অঙ্গ সহচরী করি ছায়ার মতন—” ক্রমশ: দেখিতে পাই কেবল রূপ-সম্ভোগের মধ্যে অৰ্জ্জুনের ক্লাস্তি আসিতেছে। তিনি শৌর্য্য-বীর্য্যের ব্যবহারের জন্য ব্যস্ত হইয়া উঠিয়াছেন। চিত্রাঙ্গদা তখন বলিতেছেন— “যামিনীর মৰ্ম্মসহচরী যদি হয় দিবসের কৰ্ম্মসহচরী, সতত প্রস্তুত থাকে বামহস্ত সম দক্ষিণ হস্তের অমুচর, সে কি ভাল লাগিবে বীরের প্রাণে ?” তাহার উত্তরে অর্জুন বলিতেছেন যে, প্রতিমার অন্তরালে যেমন অশরীর দেবী উপস্থিত থাকিয়া প্রতিমার রূপচ্ছটার মধ্যে আপনাকে প্রকাশ করেন, তেমনি চিত্রাঙ্গদা যেন তাহার অঙ্গহীন প্রেমের দ্বারা তাহার সৌন্দৰ্য্যকে অতিক্রম করিয়া আর কোন এক বিরাট সত্তার ইঙ্গিতে অঙ্গুলী-সঙ্কেত করিতেছেন। চিত্রাঙ্গদ যেন