পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/১৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীন্দ্রসাহিত্যে কান্ত প্রেম S、处 রূপের বিচিত্র-সম্ভোগের দ্বারা অৰ্জ্জুনকে পূর্ণ করিয়া তুলিতেছেন কিন্তু সে সম্ভোগ তাহাকে স্পর্শ করিতেছে না। সে রূপ যেন শুধু মুক্তিকার মূৰ্ত্তি, শুধু নিপুণ-চিত্রিত শিল্প-তুলিকা ৷ চিত্রাঙ্গদার রূপ যেন টলমল করিতেছে কিন্তু তাহাকে ধারণ করিতে পারিতেছে না। অর্জুন বলিতেছেন— সাধকের কাছে, প্রথমেতে ভ্রাস্তি আসে মনোহর মায়া-কায়া ধরি’; তা’রপরে সত্য দেখা দেয়, ভূষণ-বিহীন রূপে আলো করি অন্তর-বাহির । সেই সত্য কোথা আছে তোমার-মাঝারে, দাও তারে । আমার যে সত্য তাই লও! শ্রান্তিহীন সে মিলন চির দিবসের । 豪 来 来 “দেবী নহি, নহি আমি সামান্য রমণী। পূজা করি রাখিবে মাথায়, সেও আমি নই, অবহেলা করি’ পুষিয়া রাখিবে পিছে, সেও আমি নই। যদি পাশ্বে রাখ মোরে সঙ্কটের পথে, দুরূহ চিস্তার যদি অংশ দাও, যদি অনুমতি কর’ কঠিন ব্রতের তব সহায় হইতে, যদি মুখে দুঃখে মোরে কর সহচরী, আমার পাইবে তবে পরিচয়।” চিত্রাঙ্গদার মধ্যে প্রেমের একটি নূতন স্থর বাজিয়া উঠিয়াছে। নরনারীর প্রীতির যথার্থস্বরূপ রূপকে আশ্রয় করিয়া নাই! অন্তলোক বহিলোক উভয়কে লইয়া যে একটি আনন্দ উৎসব চলিয়াছে তাহার মধ্যেও তাহা পৰ্য্যাপ্ত হয় নাই। যুগযুগাস্তের প্রেমোচ্ছ্বাস যে একটি যুগল প্রেমের মধ্যে বিধৃত হইয়া রহিয়াছে, প্রকৃতির