পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/১৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীন্দ্রসাহিত্যে কান্ত প্রেম צ9יצ যাহাকে ভালবাসি তাহার দেহ আছে, দেহে লাবণ্য আছে, কাস্তি আছে, সৌন্দর্ধ্য আছে, তবু সে দেহ যেন দেহ নয়, তাহা যেন মৰ্ম্মের প্রীতিরসের অপূৰ্ব্ব লাবণ্যময়ী রচনা। সমস্ত প্রকৃতিতে যাহা কিছু সুন্দর আছে, যাহা লইয়া আমাদের কবিকল্পনা আমাদিগকে সৌন্দৰ্য্য-লোকের মধ্যে উদ্ভাসিত করিয়া তোলে—তাহাই যেন তাহার স্বরূপ । গৌড়ীয় বৈষ্ণব-সাহিত্যে রাধাকৃষ্ণের ষে প্রণয় ও রতির কথার উল্লেখ আছে তাহাতে দেখা যায় যে সেই রতি দেহজ রতি নয়, তাহা অপ্রাকৃত রতি, অপ্রাকৃত বিহার। তাহার স্থান পৃথিবী নহে—গুপ্ত বৃন্দাবন । ভক্তেরা তাহাদেব পার্ষদ-স্বরূপ হইয়া কৃষ্ণমূখে সেই অপ্রাকৃতলীলার আস্বাদন করেন। ববীন্দ্রনাথের “মানসসুন্দরী” কবিতাটিতে দেখা যায় প্রত্যেক নরনারীর প্রীতির মধ্যে এই একটি অপ্রাকৃত স্বরূপ আছে । এই অপ্রাকৃত স্বরূপের সঙ্গে যিনি বিগ্ৰহ্ধারিণী তিনি কবির কল্পনার মধ্যে সৌন্দর্য্যের উংসস্বরূপিণী হইয়া কল্পনাধারার ভাগীরথীস্রোতে আপনাকে প্রবাহিত করিয়া তুলিতেছেন, এবং সেই তরঙ্গের মধ্যে, সেই উৰ্ম্মিমালার মধ্যে ভাসিয়া উঠিতেছে নারী। নারী শুধু নৰ্ম্মসহচরী নন, তিনি কল্পমূৰ্ত্তি দীর্ঘ-সহচরী। কল্পনা হইতে বহির্লোকে ও বহির্লোক হইতে কল্পনালোকে, কাল হইতে কালান্তরে, যুগ হইতে যুগাস্তরে, এই অশরীরী কল্পলোকবিহাবিণীর অবাধগতি, তাই তিনি শরীরিণী হইয়াও শরীর-হীনা, শরীর-হীন হইয়াও শরীরিণী। প্রেমের বিদ্রাবণ-শক্তিতে মূৰ্ত্তও অমূৰ্বরূপে প্রকাশ পায়, অমূৰ্ত্তও মূৰ্ত্তরূপে প্রকাশিত হয় – The glory of her being, issuing thence, Stains the dead, blank, cold air with a warm shade Of unentangled intermixture, made By Love, of light and motion ; one intense Diffusiom, one serene omnipresence, Whose flowing outlines mingle in their OWing,