পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/১৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীন্দ্রসাহিত্যে কান্তা প্রেম ్సులల নাহি রাত্রি, দিনমান, আদি অস্ত পরিমাণ যে অতলে গীত গান কিছু না বাজে, যাও সব যাও ভুলে, নিখিল বন্ধন খুলে ফেলে দিয়ে এসো কুলে সকল কাজে । “প্রেমের অভিষেক” কবিতাটিতে কবি বলিতেছেন যে, প্রেম যে মহিমার শিখা আমাদের ললাটে অণকিয় দেয়, তাহাতে আমাদের অস্তর্লোক আলোকিত হইয়া উঠে— সমস্ত জগৎ বাহিরে দাড়ায়ে অাছে নাহি পায় পথ যে অন্তর অস্তঃপুরে। সেখানে অবস্থিত থাকিয়া অজয় বীণায় দূর-দূরাস্তর হইতে দেশবিদেশের ভাষায়, যুগযুগান্তরের দিবস-নিশীথের মিলন-বিরহের গাথা তৃপ্তিহীন, শ্রান্তিহীন, আগ্রহের উৎকণ্ঠিত তানে ধ্বনিত হইয়া উঠে। সেখানে ভাসিয়া উঠে করতললীন ধ্যানরতা শকুন্তলার মুখ–পুরুরবার দুঃসহ বিরহগীত, তপস্বিনী মহাশ্বেতার অন্তর বেদনার রাগিণী, হরপাৰ্ব্বতীর মিলনের গীতি। সেইখানে আমরা অক্ষয় যৌবনে দেবতার তুল্য হইয়া উঠি। নিখিল প্রণয়িজনের লাবণ্যমহিমা আমাদের বদনমণ্ডলকে উদ্ভাসিত করিয়া তুলে। সেখানে আমরা রবি-চন্দ্র-তারার সভাসদ হইয়া তারালোকের সঙ্গীত শুনিতে পাই এবং সৰ্ব্বচরাচর আমাদের চিরস্থস্বদ হইয়া উঠে । তোমার অণথির দৃষ্টি, সৰ্ব্ব দেহ-মন পূর্ণ করি ; রেখেছে যেমন মৃধাৰুব দেবতার গুপ্ত স্বধা যুগযুগান্তর আপনারে স্বধাপাত্র করি ; বিধাতার পুণ্য অগ্নি জালায়ে রেখেছে অনিবার