পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/১৪৯

রবীন্দ্রসাহিত্যে কান্ত প্রেম లి? মুক্তবেণী বিবসনে, বিকশিত বিশ্ব-বাসনার অববিন্দ মাঝখানে পাদপদ্ম বেখেছ তোমাব অতি লঘুভাব। অখিল মানস-স্বর্গে অনস্ত বঙ্গিণী, হে স্বপ্ন-সঙ্গিনি । “বিজয়িনী” কবিতাটিতে নাবীমূৰ্ত্তি আঁকিতে গিয়া কবি নাবীদেহেব সৌন্দর্ঘ্যেব আলম্বন ও উদ্দীপন-বিভাবকে নানা ভঙ্গিমাব মধ্য দিয়া বর্ণনা কবিয়াছেন। কবি বলিতেছেন যে কামদেব তাহাব বক্ষঃস্থল লক্ষ্য কবিয়া পুষ্পশব হাতে লইযা প্রতীক্ষা কবিতেছেন, কিন্তু তাহাব সম্মুথে আসিয়া তাহাব পুষ্পধনু পুষ্পশব পূজাব উপহাবরূপে তাহাব চবণপ্রান্তে উপহাব দিলেন এবং তাহাব প্রশাস্ত দৃষ্টিব সম্মুখে তাহাব সমস্ত বীৰ্য্য নিভিয়া গেল । ত্যজিয়া বকুলমূল মৃদুমন্দ হাসি’ উঠিল অনঙ্গ দেব। সম্মুখেতে আসি থমকিয়া দাডাল সহসা । মুখপানে চাহিল নিমেষহীন নিশ্চল নয়নে ক্ষণকাল তবে । পবক্ষণে ভূমিপবে জামু পাতি বসি, নিৰ্ব্বাক বিস্ময়ুভবে নতশিবে, পুষ্পধনু পুষ্পশবভাব সমপিল পদপ্রান্তে পূজা-উপচার তুণ শূন্ত কবি। নিবন্ত্র মদন পানে চাহিল স্বন্দবী শান্ত প্রসন্ন বয়ানে । সমস্ত কামকে জয় কবিয়া সমস্ত বিলাস-ভঙ্গিমাব উপরে সমস্ত দেহলাবণ্যকে অতিক্রম করিয়া তাহাব মহীয়সী মূৰ্ত্তিতে কবি নারীর সাক্ষাংলাভ করিলেন।