পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/১৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবি-দীপিত "שסול আর একটি কবিতাতে বলিতেছেন—

  • যত ভালবাসি যত হেরি বড় করে? তত, প্রিয়তমে, আমি সত্য হেরি তোরে ।

来 臺 勒 নিত্যকাল মহাপ্রেম বসি বিশ্বভূপ তোমামাঝে হেরিছেন আত্মপ্রতিরূপ ” এই কবিতাগুলি পড়িলে বুঝা যায় যে কবি অনুভব করিয়াছেন, নারীকে লইয়া আমাদের যে প্রীতি, তাহ দেহপিণ্ডের মধ্যে আবদ্ধ লালসার ক্ষীণ দীপশিখা নহে ; সুৰ্য্যের দীপ্তির ন্যায় তাহা ভাস্বর। বিশ্বধাতার প্রেমপ্রস্রবণে যে সৌন্দৰ্য্যমূৰ্ত্তির আত্মবিকাশে এই জগৎ স্বল্প হইয়াছে—নারী তাহারই প্রতিমূৰ্ত্তি স্বরূপ । আমাদের অস্তরের মধ্যে বিশ্বধাতা তাহার চিরমঙ্গল-জ্যোতিতে স্নাত ও অভিষিক্ত হইয়া প্রেমমূৰ্ত্তিতে বিরাজ করিতেছেন। সেই প্রেমের ভাস্বর দীপ্তি আমাদের মধ্যে নানা আবরণে আচ্ছাদিত হইয়া রহিয়াছে। দেহের আবরণের মধ্য দিয়া যখন তাহ প্রতিফলিত হইয়া প্রকাশ পায়, তখন তাহাকে আমরা রূপতৃষ্ণার মধ্যে প্রত্যক্ষ করি । কিন্তু এই রূপতৃষ্ণ একটি স্বতন্ত্র তৃষ্ণ নহে। ইহা আমাদের আত্মার আপন অনন্তস্বরূপের একটি শান্ত প্রতিধ্বনিমাত্র। তাই ক্ষুদ্র রূপতৃষ্ণকে যতই আমরা অতিক্রম করিতে থাকি ততই প্রেমের মহিমময়ী মূৰ্ত্তি তাহার আপন সত্তায় আমাদিগের নিকট আত্মপ্রকাশ করে। যতই নারী তাহার দেহকে অতিক্রম করিয়া তাহার সাজসজ্জা, অঙ্গসৌষ্ঠব, বিলাসবিভ্রমকে অতিক্রম করিয়া, এমন কি তাহার শান্ত মঙ্গলদায়িনী বিশুদ্ধ মেহমূৰ্ত্তিকেও অতিক্রম করিয়া, তাহার আপন স্বরূপের মহিমায় আমাদের অন্তরকে ব্যাপ্ত করিয়া তুলে ততই মনে হয় নারী বাহিরের নয়—নারী অস্তরের। নারীমূৰ্ত্তিকে অবলম্বন করিয়া আমাদের অস্তরের প্রেমধাতু যখন তাহার প্রকৃত পরিচয়ের মধ্যে আপনাকে সম্পূর্ণ করিয়া তুলে, তখন তাহ অনাদি অনন্তকালের প্রকৃতির সমস্ত