পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/১৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S88 রবি-দীপিতা নারীর মধ্যে এই যে মূৰ্ত্তি রহিয়াছে তাহার বলে বিশ্বের হৃদয়ের মধ্যে প্রবেশ করিয়া তাহার সমগ্র অন্তর যে আমাদের মধ্যে প্রস্ফুরিত হইয় উঠে এইখানেই তিনি বিদ্যারূপিণী সরস্বতী। আর যে মূৰ্ত্তিতে তিনি নিখিল বিশ্বের সৌন্দর্ষ্যরূপে আমাদের কল্যাণময়ীরূপে বিরাজ করিতেছেন, তাহ তাহার লক্ষ্মীমূৰ্ত্তি। “স্মরণে* তিনি লিখিয়াছেন— “হে লক্ষ্মী তোমার আজি নাই অন্তঃপুর ! সরস্বতীরূপ আজি ধরেছে মধুর, দাড়ায়েছ সঙ্গীতের শতদল-দলে । মানস-সরসী আজি তব পদতলে নিখিলের প্রতিবিম্বে রচিছে তোমায়।” “যে ভাবে রমণীরূপে আপন মাধুরী আপনি বিশ্বের নাথ কবিছেন চুরি ; যে ভাবে সুন্দর তিনি সৰ্ব্ব চরাচরে, যে ভাবে আনন্দ তার প্রেমে খেলা করে,— যে ভাবে লতায় ফুল, নদীতে লহরী, যে ভাবে বিরাজে লক্ষ্মী বিশ্বের ঈশ্বরী 娄 臺 毒 হে’বমণী ক্ষণকাল আসি মোর পাশে চিত্ত ভরি দিলে সেই রহস্য আভাসে !”

  • দুই নারী”—কবিতায় দেখিতে পাই—

একজন তপোভঙ্গ করি,— উচ্চহাস্য-অগ্নিরসে ফাজ্জনের সুরাপাত্র ভরি’ নিয়ে যায় প্রাণমন হরি, দুহাতে ছড়ায় তারে বসন্তের পুম্পিত প্রলাপে রাগ-রক্ত কিংশুক গোলাপে নিদ্রাহীন যৌবনের গানে ।