পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/১৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীন্দ্রসাহিত্যে কাস্তা প্রেম S84. আর জন ফিরাইয়া আনে অশ্রীর শিশির-স্বানে স্নিগ্ধ বাসনায় ; হেমন্তের হেমকান্ত সফল শাস্তির পূর্ণতায় ; ফিরাইয়া আনে নিখিলের আশীৰ্ব্বাদ পানে অচঞ্চল লাবণ্যের স্মিতহাস্য স্বধায় মধুর। ফিরাইয়া আনে ধীরে পবিত্র সঙ্গমতীর্থ তীরে অনন্তের পূজার মন্দিরে ” ‘মালিনী’ নাটকে দেখা যায় যে, ক্ষেমঙ্কর ও সুপ্রিয় দুই বন্ধু ব্রাহ্মণ্য-ধৰ্ম্মের বিরোধী সৰ্ব্বজীবে দয়ামূলক বৌদ্ধধর্মের প্রচারের জন্য কাশীরাজকন্যা মালিনীকে নিৰ্ব্বাসন দণ্ড দিতে উদ্যত হন। ক্ষেমঙ্কর এই প্রচেষ্টায় বিফল-মনোরথ হইয়া অন্যদেশ হইতে সৈন্য আনিয়া কাশীরাজকে উৎখাত করিতে কৃতোদ্যম হন, কিন্তু মালিনীকে প্রেম-দৃষ্টিতে দেখিয়া স্কপ্রিয় তাহার মনে সৰ্ব্বজীবে দয়া-ধর্শ্বের সারবত্তা বুঝিতে পারেন এবং ক্ষেমঙ্করের চেষ্ট ব্যর্থ করেন। ক্ষেমঙ্কর বন্দীবেশে রাজসভায়ু আনীত হন। বন্দীবেশে আনীত ক্ষেমঙ্কর বলেন যে, রাজকুমারী মালিনীর প্রতি আমারও প্রীতিরস জাগিয় উঠিয়াছিল কিন্তু কৰ্ত্তব্যের কঠোরতায় তিনি তাহা সকলের সম্মুখে নিষ্কাসিত করিয়াছেন, কিন্তু মুপ্রিয় প্রেমের অছিলায় গার্হস্থ্যভোগ-সম্ভোগের ব্যবস্থা করিয়া ক্ষেমঙ্করের প্রতি প্রেমের বিশ্বাসঘাতকতা করিয়াছেন—এই বলিয়া তাহাকে ধিক্কার দেন। পরে মুপ্রিয় বলেন— “হে দেবি ! তোমারি জয় ! নিজ পদ্মকরে যে পবিত্র শিখা তুমি আমার অন্তরে