পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/১৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S89 রবি-দীপিতা জালায়েছ—আজি হ’ল পরীক্ষা তাহারতুমি হ’লে জয়ী ! সৰ্ব্ব-অপমানভার সকল নিষ্ঠুর ঘাত করিনু গ্রহণ ! রক্ত উচ্ছ্বসিয়া উঠে উৎসের মতন বিদীর্ণ হৃদয় হতে,—তবু সমুজ্জল তব শান্তি, তব প্রীতি, তব মুমঙ্গল অম্লান অচল দীপ্তি করিছে বিরাজ সৰ্ব্বোপরি । ভক্তের পরীক্ষা হ’ল আঞ্জ, জয় দেবি –ক্ষেমঙ্কর, তুমি দিবে প্রাণ,— আমার ধৰ্ম্মের লাগি করিয়াছি দান প্রাণের অধিক প্রিয় তোমার প্রণয়, তোমার বিশ্বাস ! তাব কাছে প্রাণভয় তুচ্ছ শতবার ” ক্ষেমঙ্করও বুঝিয়াছিলেন যে কাশীবাজকুমারীর মূৰ্ত্তি ধরিয়া অনাদি ধৰ্ম্ম তাহাকে স্নেহপ্রেমের দিকে চঞ্চল করিয়া তুলিযাছিল। কিন্তু তিনি সবলে সে বন্ধন ছিন্ন কবিয়া শাস্ত্রগ্রন্থে যাহাকে ধৰ্ম্ম বলিয়া নিদিষ্ট আছে তাহারই অনুসন্ধানে বাহির হইয় অনেক দুঃখ ক্লেশকে ববণ করিয়াছিলেন । কচ ও দেবযানীর উপাখ্যানে দেখিতে পাই যে কচও এই কৰ্ত্তব্য-বুদ্ধির প্রেরণায় দেবযানীর প্রেমকে উপেক্ষা করিয়া দেবকার্য্যে স্বৰ্গরাজ্যে গমন করিয়াছিলেন— স্বৰ্গ আর স্বর্গ বলে’ যদি মনে নাহি লাগে, দূর বনতলে যদি ঘুবে মরে চিত্ত বিদ্ধ মুগসম, চির-তৃষ্ণ লেগে থাকে দগ্ধ প্রাণে মম সৰ্ব্বকাৰ্য্য মাঝে—তবু চলে যেতে হবে মুখশুন্ত সেই স্বৰ্গধামে ।”