পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/১৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীন্দ্রসাহিত্যে কাস্তা প্রেম ‰8ግ কিন্তু দেবযানীর কামনা স্বর্গের কামনা । তাই ভোগকে উপেক্ষা করিয়া প্রেমকে বক্ষে লইয়া কচের স্বৰ্গ-রাজ্যে প্রয়াণ যথার্থ প্রেমিকেরই অনুরূপ হইয়াছে। কামগন্ধহীন গভীর প্রেম যেখানে জাগে, সেখানে কৰ্ত্তব্যে ও প্রেমে কোন দ্বন্দ্ব আসে না। চির-বিরহের মধ্যে সেখানে চির-মিলন জাগ্রত থাকে। কারণ সেই প্রেম সরস্বতীরূপিণী নারীকে আমাদের হৃদয়ে জাগ্রত করিয়া তুলে এবং ব্রহ্মবিহারের মধ্যে আমাদিগকে অনুপ্রবিষ্ট করির দেয় । তাই “মালিনী” নাটকে মুপ্রিয় বলিতেছেন— “সত্য বুঝিয়াছ সৰ্থে । মোর ধৰ্ম্ম অবতীর্ণ দীন মৰ্ত্তলোকে ওই নারীমূৰ্ত্তি ধরি। শাস্ত্র এতদিন মোর কাছে ছিল অন্ধ জীবন-বিহীন ; ওই দুটি নেত্ৰে জলে সে উজ্জল শিখা— সে আলোকে পড়িয়াছি বিশ্বশাস্থে লিখা— যেথা দয়া সেথা ধৰ্ম্ম, যেথা প্রেমস্নেহ, যেথায় মানব, যেথা মানবেব গেহ । বুঝিলাম, ধৰ্ম্ম দেয় স্নেহ মাতারূপে, পুত্ররূপে স্নেহ লয় পুন: ;–দাতারূপে করে দান দীনৰূপে করে তা’ গ্রহণ,— শিষ্যরূপে করে ভক্তি, গুরুরূপে করে আশীৰ্ব্বাদ ; ক্রিয়া হয়ে পাষাণ অন্তরে প্রেম-উৎস লয় টানি, অনুরক্ত হয়ে করে সর্ব সমর্পণ ! ধৰ্ম্ম বিশ্বলোকালয়ে ফেলিয়াছে চিত্তজাল,—নিখিল ভুবন টানিতেছে প্রেম ক্রোড়ে—সে মহাবন্ধন ভরেছে অস্তর মোর আনন্দ বেদনে