পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/১৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S8w রবি-দীপিত চাহি ওই উষারণ করুণ বদনে ! ওই ধৰ্ম্ম মোর!” এই কথা হইতে আমব দেখিতে পাই যে প্রিয়াপ্রেম মানুষের মধ্যে প্রেমউৎসকে নিঝর ধাবায় প্রবাহিত কবিয়া প্রেমেব মূৰ্ত্তিতে, কল্যাণেব মূৰ্ত্তিতে বিশ্বময় ব্যাপ্ত কবিয়া ফেলে। এখানেই সবস্বতী ও লক্ষ্মীব বা উৰ্ব্বশী ও লক্ষ্মীব মিলন। প্রাচীন পুস্তকেৰ জীর্ণ ধৰ্ম্ম সহজ প্রেমের গতিতে তাহাব ধূলিধূসব আববণ হইতে নিন্মুক্ত হইয়াতাহাব যথার্থ ব্রহ্মস্বভাবকে আত্মাব মধ্যে প্রতিভাত কবে । প্রেমেব এই মহীয়সী শক্তি হৃদযেব মধ্যে অনুভব কবিয়া সুপ্রিযু অনায়াসে তাহাব বন্ধুব সম্মুখে, তাহাব প্রিযাব সম্মুখে, মৃত্যুব দ্বাবের মধ্যেই অমৃতকে সাক্ষাং কবিয়া তাহাব অধিষ্ঠাত্রীদেবীব জয়গান কবিয দেহাস্তে অনন্তকে আশ্রয় কবিলেন ও সেই প্রেমেব বলেই মালিনী ক্ষেমঙ্কবকে ক্ষমা কবিল । মহুয়াব পূৰ্ব্ব পর্য্যস্ত ববীন্দ্র সাহিত্যে প্রেমেব যে স্বরূপের আমবা পবিচ্য পাই, তাহাতে দেখা যায় অস্তব গুহাবৰ্ত্ত আত্মস্বরূপ প্রেমধাতু আমাৰ অন্তবেব মধ্যে নিবদ্ধ না থাকিয়া বঙ্গি:-প্রকৃতির মধ্যে ও নবলোকের পবম মৈত্রীব মধ্যে আপনাকে প্রকাশ কবিতেছে। প্রেম একদিকে যেমন আত্মোপলদ্ধিব সোপান ও প্রকাশ, অপবদিকে তেমনি বহিজগতের সহিত, নবলোকের সহিত আপন অন্তবঙ্গতা অনুভবেব উপায। কিন্তু প্রায় অধিকাংশ কবিতাতেই পুরুষেব দিক হইতে প্রেমেব আত্মপবিচয় দিবাব জন্তই যেন কবি ব্যস্ত। নাবীব প্রেম তাহাব আপন স্বাধীনতায় ও স্বতন্ত্রতায় যেভাবে আত্মপবিচ্য দেয়, তাহাব কোনো সন্ধান মহুয়াব পূৰ্ব্ববতী কাব্যগ্রন্থে স্ফুট হইয় উঠে নাই। চিবপ্রাণময়ী প্রকৃতিব মধ্যে ও নবজাগরণময়ী নাবীব মধ্যে প্রেম কি ভাবে আত্মপ্রকাশ কবে মহুয়াতেই আমরা তাহার প্রথম পবিচয় পাই।