পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/১৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

)&a রবি-দীপিত প্রেমের আপ্লাবনের দ্বারা তিনি সমস্ত বন্ধনকে জয় করিয়াছেন ; তিনি দেখিয়াছেন যে একটি যুগল-প্রীতির উৎস কামগন্ধহীন হইয়া এমন করিয়া মহাভাবের কল্পনাতে বিহার করিতে পারে, যাহাতে আমাদের হৃদয়ের সমস্ত আবরণ খণ্ডিত হইয়া যায় । সেই আবরণহীন অন্ত:স্পর্শের মধ্যে নিখিলবিশ্বের হৃদয় আমাদের হৃদয়ের মধ্যে স্পন্দিত হইতে পারে । সেই স্পন্দনের যোগে বিশ্বম্পন্দনকে আমরা আমাদের অন্তরের মধ্যে সাক্ষাৎ করিতে পারি। কিন্তু এই ষে বহিলোকের সহিত দ্বন্দ্বে, দেহের সহিত সঙ্ঘাতে, প্রেমের বিজয়ের মধ্যে আমরা আমাদের আত্মার চিরন্তন ও ব্যাপক মিলনকে সাক্ষাৎ করি, ইহা একান্তভাবে আমাদের আত্মার ঘনিষ্ঠ মূৰ্ত্তি। সত্যকে তাহার বহিঃস্বরূপে প্রতিষ্ঠিত না দেখিয়া তাহাকে তাহার অন্তঃস্বরূপের মধ্যে ধ্যানলোকে উপলব্ধি করি । এই যে আত্মবিজয়, এই যে দেহ-দ্বন্দ্বের মধ্যে দেহের উপরে উঠিয়া ভাবসন্মিলন, ইহা আমাদের প্রাচীনদেব মুক্তি অনুসন্ধানের উপায়ান্তর মাত্র ; প্রেমের বিজয়কে কেমন করিয়া তাহার মহীয়সী মূৰ্ত্তিতে বহিলোকের আদানে প্রদানে ও কৰ্ম্মযাত্রার পথে উপলব্ধি করিতে হইবে ইহাতে তাহার কোন সঙ্কেত নাই। চিত্রাঙ্গদা নাটকে কবির মনে একবার এই দিকটি ফুটিখা উঠিয়াছিল। কিন্তু তাহা এমন করিয়া বিকশিত হইয়া উঠে নাই যে সেই পথের প্রেরণ কবিকে ব্যাকুল করিয়া তুলে। সেই জন্য আমরা দেখিতে পাই যে তাহাব পরবর্তী রচনায় তিনি প্রেমকে অন্তরের বিকাশের মধ্যেই অনুভব করিয়াছেন। তাহাকে তাহার বহিঃপ্রকাশের মধ্যে তেমন করিয়া স্থান দিতে পারেন নাই । ‘মহুয়া কাব্যে আবার চিত্রাঙ্গদার স্বরটি তাহার চিত্তে বাজিয়া উঠিয়াছে দেখিতে পাই । ‘বলাকার মধ্যে যেমন দেখি যে অন্তৰ্য্যামী তাহার অন্তরের আসনে উপবিষ্ট থাকিয়া অন্তর-বাহিরকে একত্র করিয়া অজানার যে যাত্রা চলিয়াছে তাহার দিকে আপনাকে প্রধাবিত করিয়াছেন, ‘মহুয়ার মধ্যে তেমন দেখিতে পাই যে, প্রেমের আস্তরাস্বাদ তাহাকে বহির্বাত্রার পথে বরণ করিয়া লইয়াছে। রবীন্দ্রনাথের পরিণত যুগের কবিতার মধ্যে দেখা যায় যে প্রকৃতি আর