পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/১৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাস্ত প্রেম—মহুয়া S(t) মামুষের নানা চিত্তধারাব উদ্দীপনবিভাবেব উপাদানভূত হয় নাই। তাহার পূর্ব যুগের কবিতায় এবং আমাদেব দেশেব প্রাচীন কবিতাষ দেখা যায় যে প্রকৃতি পুরুষাৰ্থ-প্রবর্তিনী। প্রকৃতিব বিচিত্র লীলাব আবেষ্টনেব কেবল এইমাত্র কাজ যে সে মানুষেব ভাবধারাকে তাহার চঞ্চল ভঙ্গীতে ফুটাইয়া তুলিবে। কিন্তু রবীন্দ্রনাথের চিত্তপবিণতিব সঙ্গে সঙ্গে এই ভাবটিই প্রধান ভাবে দেখা যায় যে একই দেবতা অস্তরলোকে ও বহিলোকে, মনোলোকে ও প্রকৃতি লোকে তাহাব একই গতিভঙ্গীতে বিহাব কবিতেছেন। মানুষও যেমন সুখদুঃখ জন্মমৃত্যুব বিচিত্রলীলাব মধ্য দিয়া নিবন্তব সঞ্চবণ কবিতেছে প্রকৃতিও যেন ঠিক তেমনি ভাবে জন্ম-মৃত্যুব লীলাব মধ্য দিয়া কোন অজানাব পথে ছুটিয়া চলিয়াছে। প্রকৃতি তাহাব আপন স্বভাবকে মাতৃয়েব সম্মুখীন কবিয মানুষের মধ্যে ষেন তাহা প্রতিফলিত কবিয়া তুলিযাছে। তাহাব নিজের মধ্যে যে এক গভীব মন্ত্র সুপ্তপ্রায় অবস্থাব মধ্য দিয়া জাগবণেব দিকে অগ্রসব হইতেছে, তাহাকেই মানুষের মধ্যে তাহাবই প্রবুদ্ধস্বরূপে সাক্ষাৎ কবে । ঋতুমণ্ডলেব মধ্যে ঋতুবাজ যে ক্রীড়ামৃত্য দেখাইতেছেন মানুষের মধ্যেও তাহাবই বিচিত্ৰ-ভঙ্গী উহাব নানা ভাবধাবার মধ্যে তাহাব জন্মমবণেব ছন্দে প্রকাশ পাইতেছে । একই নটবাজ বহির্জগৎ ও অন্তর্জগৎকে ব্যাপ্ত কবিয়া বহিয়াছেন । কবিব ‘বলাকা’ ও অন্যান্য কাব্য পড়িলে দেখা যায যে সমস্ত জগৎ জুডিয়া যে সত্যটি আত্মপ্রকাশ কবিতেছে তাহাব মূলস্বরূপ হইতেছে যৌবন, গতি, চঞ্চলতা ও তাহার নানা ছন্দ। রবীন্দ্রনাথেৰ চিত্ত, বয়সেব পবিণতিব সঙ্গে সঙ্গে যেন হৃদয়েব মায়াগৃহেব আগল ভাঙ্গিয়া বহিলোকে আসিযা পডিয়াছে । হৃদয়ে যে সত্য অনুভব কবিয়াছেন তাহা কেবলমাত্র হৃদয়গুহা-স্পর্শেব গভীবতাব মধ্যে বিলীন হইয় যায় নাই। চৈতালী পৰ্য্যন্ত ববীন্দ্রনাথ যাহা লিখিয়াছেন সে কবিতাগুলিতে প্রেমকে ব্যাপক ও সর্বপ্রাণী বলিয়া অনুভব করিলেও সে ব্যাপ্তি কৰ্ম্মেব মধ্যে জীবনের মধ্যে তেমন প্রতিফলিত হয় নাই যেমন প্রকাশ পাইয়াছে তাহার হৃদয়েব মধ্যে। ১৩৯৪ সালে লিখিত “কল্পনাতে’ কবি লিখিয়াছিলেন—