পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/১৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কান্ত প্রেম—মহুয়া 》○を মধ্যে, স্বাক্টর ক্রমবিকাশের মন্ত্রের মধ্যে, জন্ম-মৃত্যুর রহস্তের মধ্যে, মৃত্যুর মধ্য দিয়া অমৃতের পরিস্ফূৰ্ত্তির মধ্যে, অজানা লোকের দিকে যে অভিযান চলিয়াছে তাহারই চিরপান্থরূপে আপনাকে প্রকাশ করিয়াছেন ও আমাদের সমস্ত পরিচয় সেই যাত্রার মধ্য দিয়া ফুটাইয়া তুলিতেছেন এই সত্যই গভীর সত্য। এই উপলব্ধি যদি চরমতত্ত্ব হয় তবে প্রেমের চরম প্রকাশ আত্মোপলব্ধির পূর্ণতার মধ্যে নয়। শুধু হৃদগুহার মধ্যে বিশ্ব-নরনারীর হৃদয়ের সঙ্গে ও প্রকৃতির আনন্দ-প্রস্রবণের ধারার সঙ্গে আপনাকে একীকৃত কবিয়ু দেখার মধ্যে নয় ; প্রেমের চরম সত্য বিশ্বনিয়মের চরম সত্য ; তাহা গতির সত্য, নৃত্যের সত্য, ছন্দের সত্য । তাহার উদ্বোধন ভিতরে বাহিরে যুগপৎ চলিয়াছে। তাই কবি বসন্ত-সমাগমের মধ্যে, শীত-বসন্তের দ্বন্দ্বের মধ্যে, অরণ্যের সুপ্তিহরণের মধ্যে, মল্লিকার প্রস্ফুরণের মধ্যে, অশোকের রোমাঞ্চের মধ্যে ও কিংশুক-কুকুমেব বনশ্যার মধ্যে বসন্তের বরবেশ প্রত্যক্ষ করিতেছেন। মানুষের মধ্যে যে লীলা প্রকৃতির মধ্যেও সেই লীলা । প্রকৃতি ও মানুষ এই উভয়কে লইয়া নটবাজের নৃত্য চলিয়াছে । তাই দেখিতেছি— বসন্তের জয়রবে দিগন্ত কঁাপিল যবে মাধবী করিল তা’র শয্যা । মুকুলের বন্ধ টুটে বাহিরে আসিল ছুটে ছুটিল সকল তার লজ্জা । অজানা পাস্থের লাগি’ নিশি নিশি ছিল জাগি দিনে দিনে ভ’রেছিলো অৰ্ঘ্য । কাননের একভিতে নিভৃত পরাণটিতে রেখেছিলো মাধবীর স্বৰ্গ ।