পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কড়ি ও কোমল \ー) এই সূৰ্য্য করে এই পুষ্পিত কাননে জীবন্ত হৃদয় মাঝে যদি স্থান পাই । ধরায় প্রাণের খেলা চির প্রবাহিত, বিরহ মিলন কত হাসি অশ্রুময়, মানবের মুখে দুঃখে গাথিয়া সঙ্গীত যদি গো রচিতে পারি অমর আলয় । তা যদি না পারি তবে বঁচি যত কাল তোমাদেরি মাঝখানে লভি যেন ঠাই, তোমরা তুলিবে ব’লে সকাল বিকাল নব নব সঙ্গীতের কুসুম ফুটাই । বিশ্বপ্লাবিত প্রেমের ঢেউ যখন কবিকে নাচিয়ে তুলত, তখন আর তার মনে ধনের গৌরব স্থান পেত না, সমস্ত ছেড়ে দিয়ে কাঙ্গালিনী মেয়ের পাশে গিয়ে দাড়াতেন, উৎসবের দিনে তার মলিন বসন দেখে তার চক্ষু সিক্ত হয়ে উঠত। আবার তার যৌবনের প্রৌঢ়তা ভুলে গিযে ছেলেদের সঙ্গে বসে’ “বিষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর” গাইতে বসতেন, নয় সাত ভাই চম্পার গল্প বলতে বসতেন। “একরত্তি মেয়ে” “বাবলা রাণী”কে দেখে তার কত আনন্দ, পার্থীর পালকের অনাদর দেখে তার কত ব্যথা । কিন্তু তা সত্ত্বেও এ কথা বলতে হবে যে তখনকার দিনে সাগরের ঢেউগুলি এসে ভেঙ্গে ভেঙ্গে তার গায়ে পড়ে তাকে আকুল করে তুলত, কিন্তু সাগরে ভাসতে তিনি কখনও শেখেন নি। সমস্ত সৌন্দৰ্য্যকে এক ক’রে দেখতে পারেন নি। হাত, পা, মুখ, চোখ, কান যখন যেটি আঁকতেন তা বেশ চমৎকার করেই অঁাকতে পারতেন বটে, কিন্তু সে সমস্তগুলিকে নিয়ে এবং সেগুলিকে ছাড়িয়ে যে এক অনিৰ্ব্বচনীয়, প্রাণময় ছবি, অসীম ও সসীমের আলোছায়ায় বিচিত্ৰ হ’য়ে রয়েছে তার সন্ধান পান নি। স্বর ও ছন্দের হাওয়ায় র্তার কাব্যের ঘুড়িখানাকে তিনি আকাশে উড়িয়ে দিচ্ছিলেন বটে, কিন্তু অস্তরের স্বতে যেখানে বাধা আছে—সেই নাটাইটা তখনও তিনি হাতে পান নি। তিনি