পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/১৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ꮌ©Ꮼ রবি-দীপিতা এখানে প্রকৃতি যেন প্রেমের অন্তর লীলায় বিভোর। প্রাঙ্গনের শিরীষ-শাখায় ক্লাস্তিবিহীন ফুলফোটানোর খেলা চলিয়াছে। তাহার ডালে ডালে স্বৰ্গপুরের নুপুরধ্বনি রণৎকারে বাজিয়া উঠিতেছে আর তাহারই মধ্য দিয়া বসন্ত-জীবনের আগমনধ্বনির প্রত্যাশা যেন স্ফুরিত হইয়া উঠিতেছে— ডালগুলি তা’র রইবে শ্রবণ পেতে অলথজনের চরণ-শব্দে মেতে । প্রত্যহ তা’র মৰ্ম্মরস্বর ব’ল্বে আমায় কী বিশ্বাসে “সে কি আসে ?” “অর্ঘ্য’ কবিতাটিতে তিনি বলিতেছেন— এই ভুবনেব একটি অসীম কোণ, যুগলপ্রাণের গোপন পদ্মাসন, সেথায় আমায় ডাক দিয়ে যায় নাই জানা কে, সাগরপারের পান্থপাখীব ডানার ডাকে । প্রকৃতির মধ্যে যুগল প্রাণের যে পদ্মাসন রহিয়াছে তাহার মধ্য হইতে অজানা লোকের দিকে যে প্রেমের বাণী ঝঙ্কত হইয়া উঠিতেছে তাহাই কবির চিত্তের মধ্যে প্রেমের আবেশ ফুটাইয়া তুলিতেছে। ঝিল্লীবানন অশোকের প্রদীপমালায়, ফাল্গুনবনের রক্তদীপন প্রাণের আভায়ু, কবির চিত্তের মধ্যে একটি নূতন প্রকাশ, বচন ও নূতন রচনের মধ্যে আপনাকে উদ্বুদ্ধ করিতেছে। প্রকৃতির মধ্যে যে আদিম অগ্নিশিখা জলিয়া রহিয়াছে তাহাই কবির ললাটে নূতন আলোর টীকা পরাইয়া দিয়াছে এবং তাহার নীরব হাসির সোনার বঁাশরী’-ধ্বনি হইতে প্রেমের একটি নূতন উদ্বোধিনী-গীতির আলাপ উঠিয়াছে। তিনি বলিতেছেন— প্রাণ-দেবতার মন্দির দ্বার যাক্ রে খুলে, অঙ্গ আমার আর্ঘ্যের থাল অরূপ ফুলে ।