পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/১৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ጏ¢bም রবি-দীপিত হইতে যে ভাবধারা নিরস্তর বাহির হইতেছে প্রকৃতির চিত্তের মধ্যে তাহ প্রবেশ করে কি না সে সম্বন্ধে কবির চিত্তে সংশয় জাগিয়া উঠায় কবি বলিতেছেন,— আমার হৃদয়ে সে কথা লুকান, তার আভাষণ ফেলে কভু ছায়া তোমার হৃদয়তলে দুয়ারে একেছি রক্তরেখায় পদ্ম-আসন, সে তোমারে কিছু বলে ? প্রকৃতির মধ্যে যে নিবন্তর মিলনের লীলা চলিয়াছে কবি তাহা তাহার মানসনেত্রে প্রত্যক্ষ করেন। পূর্ণচন্দ্রকে দেখিয় উংস্থক ধরণীর সর্বাঙ্গ বেষ্টন করিয়া তরঙ্গের ধন্য ধন্য ধ্বনি কুলে কুলে মন্দ্রনিনাদে গজ্জন করিয়া উঠে। কোটালের বানে নদীর গদগদ বাণী, যেন অশ্রুবেগে ফুলিয়া ফুলিয়া উঠে। এই আবেগের মধ্য দিয়া পৃথিবী চন্দ্রেব নিকট যে আত্মনিবেদন করে তাহাতে সে কি চায়, কি বলে তাহা যেন আপনিই জানে না । মানুষের জীবনেও যখন প্রথম মিলনের ভাববন্ত আসে তখন তাহাও এমনি উচ্ছাসে পরিপূর্ণ, নির্দিষ্ট ভাবাভিব্যক্তির দীনতায় আচ্ছন্ন। আবার বসন্তের উৎকণ্ঠিত দিনে যখন পলাশের রক্তপত্রে সমস্ত বন ব্যাপিয়া বর্ণবহি জপিয়া উঠে, অজস্ৰ ঐশ্বৰ্য্যভাবে শিমূলের পত্ররিক্ত দরিদ্রশাখা যখন পাগল হইয় উঠে, তখন আকাশে বাতাসে যে রক্তফেণমুরা উচ্ছসিত হইয়। উঠে তাহাতে প্রকৃতির সমস্ত আবেগ উচ্ছসিত হইয়া উঠিয়া যেন এক নিমেষে সমস্ত আবেদনকে নিঃশেষ করিয়া ফেলে। নরনারীর প্রীতি-মিলনের প্রথম উচ্ছ্বাস এমনি ভাববেগে আত্মনিঃশেষ। এই কবিতাগুলি পড়িলে দেখা যায় যে প্রকৃতির মধ্যে যে প্রেমপ্রেরণা তাহাকে বিকাশের পথে উদ্বুদ্ধ করিয়া চলিয়াছে, যে প্রেম সেই বিকাশকে মামুষের অস্তরের দ্বার পর্ষ্যস্ত পৌছাইয়া দিয়া, প্রকৃতি ও মানুষের মধ্যে প্রেমলীলার পথকে অবারিত কবিয়া দিয়াছে, যে প্রেম প্রকৃতি ও মামুষের মধ্যের নিরস্তর আদানপ্রদানকে সার্থক করিয়া তুলিয়াছে, তাহাই কবিচিত্তে কুঞ্জবিতানে আনন্দবংশীর বিচিত্র ঝঙ্কারে নূতন নূতন মায়ামূৰ্ত্তিতে আপনাকে সাক্ষাৎ