পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/১৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কান্তা প্রেম—মহুয়া &3 করাইতেছে। প্রকৃতির আপন লীলার মধ্যে যে পূর্ণিমার মিলনের উৎসব চলিয়াছে, যে বসন্তের ফেণিল উচ্ছ্বাস চলিয়াছে, তাহার মধ্য দিয়া কবি যেন প্রকৃতিব্যাপারের মধ্যে ঠিক মানুষেরই মিলনের মত নূতন নূতন প্রেমের মিলনকে উপলব্ধি করিয়াছেন । “নটরাজ” ও “বলাকা"তে প্রকৃতি ও মানুষের জীবনের মধ্যে যে ঐক্যলীলার কথা বলা হইয়াছে ইহাও তাহারই অনুরূপ। আর একটি কবিতাতে কবি-প্রকৃতির সহিত কবি-চিত্তের মিলনোৎসবের গান গাহিয়াছেন। প্রকৃতি এবং প্রেয়সী যেন এক হইয়া গিয়াছে। ইহাকে রূপক বলা যায় কি অতিশয়োক্তি বলা যায় তাহ বলা মুকঠিন, কারণ এখানে উভয়ের মধ্যে দ্বৈতবোধ পরিস্ফুট নহে। প্রেয়সার আনন্দরস তাহার মানব-মূৰ্ত্তিকে আশ্রয় না করিয়া প্রকৃতির মধ্য দিয়া প্রবাহিত হইয়া কবির চিত্তপাত্রকে কাণায় কাণায় ভরিয়া তুলিয়াছে। প্রকৃতিপ্রেয়সী সঙ্গোপনে কবিচিত্তের মধ্যে তাহার বাণীছন্দরূপে যেন প্রকাশ লাভ করিয়াছে । চিত্তের অন্ধকাবের মধ্যে প্রকৃতি-প্রেয়ুসীর বা প্রেয়সী-প্রকৃতির দ্বীপশিখাটি জলিয়া উঠিয়াছে, আর সেই দীপশিখার সহিত রস-সম্ভোগের সৌরভে কবিচিত্ত তন্ময় হইয়া উঠিয়াছে। রূপের রেখার সঙ্গে সঙ্গে রসের লেখা মিলিত হইয়াছে। এবং সেই রসের লেথার মধ্য দিয়া প্রকৃতির বস্তুরূপ আপনার বস্তুতাকে পরিত্যাগ করিয়া রস-স্বরূপে প্রতিভাত श्३ग्राप्श्

  • চিত্তকোণে ছন্দে তব

বাণীরূপে সঙ্গোপনে আসন লবো চুপে চুপে । সেইখানেতেই আমার অভিসার, যেথায় অন্ধকার ঘনিয়ে আছে চেতন বনের ছায়াতলে