পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/১৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাস্তা প্রেম—মহুয়া עטאל পদে পদে তব আলোর বলকে ভাষা আনে প্রাণে পলকে পলকে, মোর বাণী-রূপ দেখিলাম আজি নিঝরিণী । তোমার প্রবাহে মনেরে জাগায়, নিজেরে চিনি ॥ “প্রকাশ” কবিতাটি হইতেই প্রকৃতির প্রেম হইতে কবি নারীর প্রেমে অবতীর্ণ হইলেন। এই কবিতাটির মধ্যে কবি অনুভব করিয়াছেন ষে প্রেয়সীর প্ৰেমদৃষ্টির মধ্যেই আমাদের মৰ্ম্মগত প্রাণ তাহার আপন পরিচয় লাভ করে । অসংখ্য যুগের প্রত্যেক মানুষের যে একটি বিশিষ্ট স্বতন্ত্রত উৎপন্ন হইয়াছে তাহার উদ্বোধন হয় প্রিয়া-প্রেমের মধ্যে । জগতের মধ্যে কৰ্ম্ম-বন্ধনে মানুষের যে পরিচয় তাহাতে তাহার বিশিষ্ট স্বতন্ত্রতার কোন পরিচয় নাই। তাহাতে তাহার আত্ম-আবিষ্কার নাই। সেখানে সে দশজনের একজন মাত্র, সেখানে তাহার যথার্থ মূল্য ও যথার্থ সার্থকতা বিলুপ্তপ্রায় । “ছায়া আমি সব কাছে অক্ষুট আমি-যে, তাই আমি নিজে তাহাদের মাঝে নিজেরে খুজিয়া পাই না-যে । তা’রা মোর নাম জানে, নাহি জানে মান, তা’রা মোর কৰ্ম্ম জানে, নাহি জানে মৰ্ম্মগত প্রাণ । সত্য যদি হই তোমা কাছে তবে মোর মূল্য বঁাচে,— তোমার মাঝণরে বিধির স্বতন্ত্র স্বষ্টি জানিব আমারে। X >