পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/১৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*७२ রবি-দীপিতা প্রেম তব ঘোষিবে তখন অসংখ্য যুগের আমি একান্ত সাধন। তুমি মোরে করে আবিষ্কার, পূর্ণ ফল দেহে মোরে আমার আজন্ম প্রতীক্ষার। বহিতেছি অজ্ঞাতের বন্ধন সদাই, মুক্তি চাই তোমার জানার মাঝে সত্য তব যেথায় বিরাজে ।” ‘বরণডালা’ কবিতাটিতে দেখা যায় যে যেমন নব বসন্তে লতায় লতায় পাতায় ফুলে প্রভাতের স্বর্ণকুলে প্রেমজাগরণের বাণী-হিল্লোল উচ্ছ্বসিয়া উঠে, তেমনি নারীদেহের সৌন্দর্য্যের মধ্যে প্রেমের ছন্দ য়েন মনের বেলা ছাপাইয়া বাহির হইয়া আসে। নারীর সৌন্দৰ্য্য বাহিরের উপকরণ নহে, তাহ অন্তরের মূৰ্ত্ত প্রকাশ। দেহ সৌন্দর্ঘ্যের অর্ঘ্য বাহিরের উপকরণ নহে তাহা প্রাণের স্রোতাবেগে আবৰ্ত্তিত পূজার সামগ্রী ৷ দেহকে যতক্ষণ শুধু দেহ বলিয়া মনে করা যায়, ততক্ষণ তাহার আকর্ষণকে লালসা ছাড়া আর কিছু বলা যায় না। ক্লেদ ও মলিনতায় তাহা পরিপূর্ণ । ভস্তু হরি যখন নারীদেহের প্রতি বৈরাগ্য সঞ্চার করিবার চেষ্টায় লিথিয়াছিলেন— স্তনে মাংসগ্রন্থী কনককলসাবিত্যুপমিতে মুখং শ্লেষ্মাগারং তদপি চ শশাঙ্কেন তুলিতম্। তখন নারীদেহকে তিনি শুধু দেহরূপেই দেখিয়াছিলেন। কামুকের লালসা দেহের প্রতি একটি জৈব আকর্ষণ মাত্র। কিন্তু যখন নারীদেহের সৌন্দৰ্য্যকে তাহার প্রাণের প্রেমজীবনের পত্রপুষ্পের অর্ঘ্যরূপে দেখা যায়, তখন তাহাতে পবিত্রতা ও পূজার মাহাত্ম্যই ফুটিয়া উঠে । দেহের ক্লিন্নতার লেশমাত্রও থাকে না ।