পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/১৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাস্তা প্রেম—মহুয়া ృతి(t পুষ্পের বাসে, যে অতিথি ছায়ারূপে বারম্বার হৃদযুদ্ধার কম্পিত করিয়াছে, যাহার নিঃশ্বাস হৃদয়যন্ত্রের তারগুলিকে র্কাপাইয়াছে ও অবগুণ্ঠনকে স্পদিত করিয়াছে, তাহার স্পর্শ নিগুঢ় অস্তবেদনার মধ্যে জাগ্রত হইয়াছিল। তাহাকে প্রিয়তমের নিকট অর্ঘ্যের থালিরূপে সাজাইয়া দেওয়া হয় নাই। “ব’লো তারে আজ, অস্তরে পেয়েছি বড় লাজ । কিছু হয় নাই বলা, বেধে গিয়েছিল গলা, ছিল না দিনের যোগ্য সাজ । আমার বক্ষের কাছে পূর্ণিমা লুকানো আছে, সেদিন দেখেছে। শুধু অমা দিনে দিনে অর্ঘ্য মম পূর্ণ হবে, প্রিয়তম, আজি মোর দৈন্য করে ক্ষমা ।” মাঘের অরুণরাগে বনের দুকূল ও আমের মূকুলের সহিত স্বর্গের যে নূতন দ্বার মুক্ত হয়, নবীন রাগের নবসোহাগের রাগিণীতে যে বীণার তার ঝঙ্কত হইয়া উঠে, তাহারই প্রেরণায় যেমন মুখর বাতাসে যুগান্তরের সুখ ভাসাইয়া অগনিয়া বনের মৰ্ম্মর-স্বরে মনের ভার নামিয়া যায় তেমনি প্রেমিকের হৃদয়-বদ্ধ প্রেমচেতনা বাণীকে বন্ধনমুক্ত করিয়া নূতন ছন্দের উচ্ছ্বাসে আপন অন্তরবীণার স্বরের সাহায্যে আপনাকে নানা প্রকাশের ভঙ্গিমায় ঝঙ্কত করিয়া তুলে। নারী যতক্ষণ প্রেমকে চেনে না ততক্ষণ সে প্রেম থাকে আত্মবিস্মৃতির তন্দ্রালীনতায় । কিন্তু তাহার সহিত পরিচয় হইলে হৃদয়ের কপাট যখন খুলিয়া যায়, সেই কপাটের মধ্য হইতে যখন সে বাহির হইয় আসে, তখন তাহার মুখনিঃস্থত বাণী কেবল হৃদয়তন্ত্রের বীণার উপর ঝঙ্কার দিয়া নিরস্ত থাকে না, তাহা তাহার