পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 রবি-দীপিত বুঝতে পারছিলেন যে তার ঘুড়িখানা কোন অসীমে ছুটে যেতে চাচ্ছে ; তাকে ঠেকিয়ে রাখা দায়, তথাপি তার মধ্যে এমন একটা কিসের অভাব রয়েছে যাতে র্তার সমস্ত চেষ্টা সমস্ত উদ্যম তার নিজের চারিদিকেই বার বার পাক থেয়ে মরছে। কবি র্তার নিজের শক্তিকে অন্তঃকরণের মধ্যে উপলব্ধি করতে পেরেছেন, এবং তার প্রামাণ্যে বুঝতে পারছেন যেন লোকে তার কাছে অনেক আশা ক’রে রয়েছে, অথচ তিনি তা দিতে পারছেন না, আব সেই ব্যথাটা তাকে সকল সময়েই অস্কুশের মতন আহত করছে। সকলে আমার কাছে যত কিছু চায় সকলেরে আমি তাহা পেরেছি কি দিতে ? আমি কি দিইনি ফাকি কত জনে হায় রেখেছি কত না ঋণ এই পৃথিবীতে। আমি তবে কেন বকি সহস্র প্রলাপ সকলের কাছে চাই ভিক্ষা কুড়াইতে, এক তিল না পাইলে দিই অভিশাপ অমনি কেন রে বসি কাতরে কাদিতে । এই যুগের মাধুৰ্য্য রসের আশ্বাদের মধ্যেও এমন একটা উগ্র গন্ধের আবেশ, এমন একটা অন্ধ আকর্ষণ, এমন একটা বিহবলতার পরিচয় পাওয়া যায়, যে সহজে বুঝতে পারা যায়, শুধু ঐ দিকটা নিয়ে পড়ে থাকতে হলে বেশী দিন চলতে পারত না ; কবির মদির প্রাণের ব্যাকুলতায় তাকে পাগল করে রেখেছিল, তিনি সমস্ত জগৎময় একটা প্রেমের স্বপ্ন দেখতেন । আমার যৌবন-স্বপ্নে যেন ছেয়ে আছে বিশ্বের আকাশ ফুলগুলি গায়ে এসে পড়ে রূপসীর পরশের মত, পরাণে পুলক বিকাশিয়া বহে কেন দক্ষিণ বাতাস যেথা ছিল যত বিরহিণী সকলের কুড়ায়ে নিঃশ্বাস । বসন্তু কাননে বসন্ত সমীরে প্রিয়ার বারতা শুনতে পেতেন । বসন্তের আবেশের