পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/১৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাস্তা প্রেম—মহুয়া ఆు এই গৌরবে চলিব এ ভবে যত দিন দোহে বঁচি, এ-বাণী প্রেয়পা হোক মহীয়সী তুমি আছ, আমি আছি।” যুগলের নিকট পরস্পরের অস্তিত্ব এমন গভীরভাবে পরস্পরের মধ্যে উপলব্ধ হয় যে সেই উপলব্ধির বলে তাহার কৰ্ত্তব্যের কঠোর পথে দুঃসহ দুঃখের মধ্য দিয়া অগ্রসর হয় । এ প্রেম মানুষকে তার অন্তরতম উপলব্ধির মধ্যে অবরুদ্ধ করিয়া রাখে না। এ প্রেম সমস্ত অবরোধ ভঙ্গ করিয়া অস্তবের মধ্যে যে উৎসাহ-সঙ্গীত বাজাইয়া তোলে, তাহার বলে দুঃসহতম কাজের মধ্যে দুর্গম পথ বাহিয়া সমস্ত সংসারের সংগ্রামকে মানুষ নিৰ্ভীকভাবে আলিঙ্গন করিতে সাহস পায়। বাহিরের সত্যকে মুছিয়া দিয়া অস্তরের একটি মোহিনী উপলব্ধির মধ্যে, পঞ্চশরের বেদনচাতুৰ্য্যের দ্বারা মানুষ আপনাদিগকে বঞ্চিত করে না। এই স্বরটি আমরা প্রথম ‘চিত্রাঙ্গদায় দেখিয়াছিলাম, তাহার পর প্রায় চল্লিশ বৎসর পরে আবার এই বাণী কবির চিত্তে নূতনভাবে জাগ্রত হইয়াছে। বৰ্ত্তমানের যুগ চলনের যুগ, গতির যুগ, প্রবাহের যুগ, সংগ্রামের যুগ। এ যুগে বাসর-শয়নের অবসর নাই। এ যুগে নারী নৰ্ম্ম-সহচরী নহে কৰ্ম্মসহচরী। নারী বিশ্রামের স্থান নহে, কৰ্ম্মের শক্তি দায়িনী। তিনি ললিতকলাবিধিতে শিষ্য নহেন, ভোগের সঙ্গিনী নহেন, তিনি সংগ্রামের তুর্য্যবাদিনী। তাই এই নবযুগের প্রেম শুধু কামাসক্তিবিহীন অস্তরের ব্যাপকতার মধ্যে পৰ্য্যাপ্ত নহে। শুধু প্রকৃতির সহিত অনাদি অনন্তকালের নরনারীর ঐক্য-বন্ধনের মধুরতার মধ্যে অবসন্ন হইলে ইহা মানুষকে বিশ্বকৰ্ম্মের প্রাঙ্গন-ভূমিতে সঞ্চোদিত করিতে পারে না । গায়ত্রীতে আছে যে, সেই দেবতার বরণীয় তেজকে আমরা ধ্যান করি, যাহা আমাদের বুদ্ধিকে সৰ্ব্বদাপ্রচোদিত করিতে থাকে। এই মন্ত্রের অধিষ্ঠাত্রী সরস্বতীই গায়ত্রী সরস্বতী। এই গায়ত্ৰীসরস্বতীর সহিত মিলিত হইয়াছেন নীলা সরস্বতী, যিনি আমাদিগকে সমস্ত কৰ্ম্মে প্রেরণ করেন। আজিকার দিনে নারী শুধু বাকবাদিনী বা বীণাবাদিনী সরস্বতী নহেন,