পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/১৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

›ፃ• রবি-দীপিত তাহার বিদ্যা কেবলমাত্র মৈত্রী করুণার ব্রহ্মবিহারের মধ্যে পৰ্য্যাপ্ত নহে, তিনি আজ দেবসেনানী স্কন্দমাতার জননীরূপে আমাদের হৃদয়ে আবিভূত হইয়াছেন। নারীর প্রেম আজ আমাদিগকে ঘরের কোণায় বাধিয়া রাখিতে পারে না, সে প্রেম আমাদিগকে বহির্জগতের মধ্যে উন্মুক্ত করিয়া দেয়। পৃথিবীর যজ্ঞ-বেদিকায় যে দুঃখের হোমশিখা জলিতেছে, যে প্রাণের আহুতি চলিয়াছে তাহারই চতুদিকে তিনি আমাদের সপ্তপদীগমনের সহযাক্রিণী । তিনি আমাদের অজানাপথের পাহাড়কাটার সঙ্গিনী । “পথ বেঁধে দিল বন্ধন-হীন গ্রন্থি, আমরা দুজন চলতি হাওয়ার পন্থী। 兼 秦 鲁 নাই আমাদের কনক-চাপার কুঞ্জ । বন-বীথিকায় কীর্ণ বকুল পুঞ্জ । 秦 肇 峰 泰 নাই আমাদের সঞ্চিত ধন-রত্ন, নাই যে ঘরের লালন-ললিত যত্ন । পথপাশে পার্থী পুচ্ছ নাচায় । বন্ধন তারে করি না খাচায়, ডানা-মেলে দেওয়া মুক্তিপ্রিয়ের কুজনে দুজনে তৃপ্ত। আমরা চকিত অভাবনীয়ের স্কুচিৎ কিরণে দীপ্ত ।” আজিকার এই প্রেম যখন বিচ্ছেদ ও অন্ধকারের মধ্যে বিষাদময়া নিজ নকুটার-লীন প্রেয়সীর দ্বারে বজ্রধ্বনি-মন্দ্ৰিত-মল্লারে মৃত্যুনির্ঘোষে আসিয়া প্রিয়ের চিরবিরহ স্বচনা করে, তখন শোকাচ্ছন্ন নারী যুদ্ধশায়ী বীরের চিরপ্রয়াণের বাৰ্ত্তার মধ্যে তাহার অাপন বিবাহমাল্যের আভ্ৰাণ পায় ।