পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/১৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবি-দীপিত אה"מ অশ্র-নয়নে বৃথা শিরে কর হানি, যাত্রায় নাহি দিব বাধা । আমি তব জীবনের লক্ষ্য তো নহি, ভূলিতে ভুলিতে যাবে, হে চিরবিরহী ; তোমার যা দান তাহ রহিবে নবীন আমার স্মৃতির আঁখি জলে, আমার যা দান সেও জেনো চিরদিন র'বে তব বিস্মৃতিতলে।’ বিরহিণীকে ত্যাগ করিয়া যাইবার সমস্তুে যদি প্রিয়তমের চিত্তে তাহার অশ্রুসিক্তনয়ন দেখিয়া দ্বিধা উপস্থিত হয়, তবে তাহার প্রতি গভীর করুণ উদ্রিক্ত হইয়া যেন তাহাকে তাহার গন্তব্য হইতে বিমুখ না করে। তাহার দুঃখে মুগ্ধ হইয়া তিনি যে অতিরিক্ত তাহাকে দিবেন, তেজস্বিনী নারী তাহ গ্রহণ করিতে চাহিলেন না। যেটুকু সত্য ও ভালবাস। তিনি পাইয়াছিলেন সেইটুকুই তাহার জীবনের সম্বল। কোন মিথ্যা দিয়া তিনি তাহার আয়তন বৃদ্ধি করিতে চান না । নিজের দুৰ্ব্বলতা দিয়া তিনি কোন নূতন অধিকারের প্রত্যাশিনী নহেন ! প্রেমের একটি সীমা আছে, সেই সীমার মধ্যে যেটুকু সহজে পাওয়া যায়, সেই ক্ষণিক মিলনটিকে মৃত্যুঞ্জয় করিয়া চিত্তের মধ্যে বরণ করিয়া লওয়াতেই প্রেমের সার্থকতা । নারী যেখানে সঙ্গিনীরূপে প্রিয়েব কৰ্ম্মণক চরী হইতে পারেন না, সেখানে তিনি পুরুষের পথে বাধা হইয়া দাড়াইতে চান না । অবাধগতির মধ্যে তাহাকে মুক্ত করিয়া দিয়া মুহূৰ্ত্তমিলনের সহজপ্রাপ্তির মহিমাকে হৃদয়ের মধ্যে অক্ষয় অমর করিয়া তিনি রাখিতে পারেন । “প্রেমেরে বাড়াতে গিয়ে মিশাব না ফাকি, সীমারে মানিয়া তার মর্য্যাদা রাখি, যা পেয়েছি সেই মোর অক্ষয় ধন, যা পাইনি বড় সেই নয় ।