পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/১৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

^ 3 রবি-দীপিত “তোমার প্রবল প্রেম প্রাণভরা স্বষ্টির নিঃশ্বাস, উদ্দীপ্ত করুক চিত্তে উদ্ধ শিখা বিপুল বিশ্বাস।” দেশময় মিথ্যা নিশাচর অস্তাচল-পথ রুব্ধ করিষা উড়িয়া চলিয়াছে, আলোআশধারের বঞ্চনায় পথিক পথভ্রান্ত। মোহেব দীক্ষায় বিধাতা আমাদিগকে ধিকৃত করিতেছেন ; ভাগ্যের ভিক্ষুক কুটিল সিদ্ধির বহু-জন-উচ্ছিষ্ট প্রসাদকে আশীৰ্ব্বাদ মনে করিতেছেন ; কুৎসার পঙ্কেব প্লানির ক্লেদে চাবিদিক কর্দমাক্ত, বঞ্চনার ভঙ্গুর ভেলায় লোকে দুৰ্য্যোগের সিন্ধু উত্তরণ করিতে চায়, অস্তবে বন্ধনকে সঞ্চিত করিয়া রাখিয়া বাহিরে মুক্তির অন্বেষণ করে । কলহকে শৌর্য্য বলিয়া মনে করে, ছলনাকে শক্তি বলিয়া জ্ঞান করে, মৰ্ম্মগত খৰ্ব্বতীয় সৰ্ব্বকালকে খৰ্ব্ব করিয়া রাখে । এই তে! নারীপ্রেমের আবাহনের উপযুক্ত সময়। সেই প্রেম আমাদের চিত্তে অভয় বাণী জাগাইয়া আমাদের মৰ্ম্মগত চিবসত্যকে কুঙ্কটিকাব আবরণ হইতে মুক্ত করিয়া প্রকাশ করুক ও আমাদেব চিত্তকে মহত্বে উচ্চ শিখরে উত্তোলিত করিয়া তুলুক, “হে বাণীরূপিণী, বাণী জাগা ও অভয়, কুজুটিকা চির সত্য নয়। চিত্তেবে তুলুক উদ্ধে মহত্ত্বেব পানে উদাত্ত তোমার আত্মদানে। হে নাবী, হে আত্মাব সঙ্গিনী, অবসাদ হ’তে লহ জিনি’,— স্পৰ্দ্ধিত কুশ্ৰত নৃত্য যতই করুক সিংহনাদ, হে সতী সুন্দরী, আনো তাহার নি:শব্দ প্রতিবাদ ।” এই কবিতাটিতে দেখিতে পাই যে নাবীর উদত্ত আত্মদানের মধ্যে যে মহত্ত্ব উদ্ভাসিত হইতেছে তাহাবই প্রেরণা দেশব্যাপী কুটিলতা, কলুষতা, মূঢ়তা ও শৌৰ্য্যহীনতার গ্লানি হইতে উদ্ধ দিকে স্পন্দিত করিয়া আমাদিগকে মহত্ত্বের দিকে, মুক্তির দিকে অগ্রসর করিয়া দিতেছে ।