পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কড়ি ও কোমল & মধ্যে মিলন চুম্বনের স্পর্শ পেতেন ; মেঘের পাশে মেঘ দাড়ালে তাদের ক্ষণিক চুম্বনের ছোয়াছুয়ি দেখতে পেতেন — আকাশের দুইদিক হতে দুইখানি মেঘ এল ভেসে দুইখানি দিশহারা মেঘ,—কে জানে এসেছে কোথা হ’তে । সহসা থামিল থমকিয়া আকাশের মাঝখানে এসে, দোহাপানে চাহিল দুজনে চতুর্থীর চাদের আলোতে । মেলে দোহে তবুও মেলে না, তিলেক বিরহ রহে মাঝে, চেনা বলে মিলিবারে চায়, অচেনা বলিয়া মরে লাজে । মিলনের বাসনার মাঝে আধখানি চাদের বিকাশ ; দুটি চুম্বনের ছোয়াছুয়ি, মাঝে ষেন সরমের হাস, দুখানি অলস আঁখি পাতা, মাঝে সুখ-স্বপন আভাস । দোহার পরশ ল’য়ে দোহে ভেসে গেল কহিল না কথা, বলে গেল সন্ধ্যার কাহিনী, ল’য়ে গেল উষার বারতা। কবির সমস্ত দেহ মন যেন একটা ঝড়ের দোলায় এক সঙ্গে কেঁপে উঠেছে ; কবি আর নিজেকে নিজের মধ্যে সঞ্চিত রাখতে পারছেন না । কবি তখন পঞ্চবিংশতি বর্যের নবীন যুবক। যৌবনের রঙ্গীন আভায় তার সমস্ত শরীর তখন রিমঝিম্‌ করছে। মনেব চেয়ে দেহের সৌন্দৰ্য্যই তখন বেশী। শরীরকে আরম্ভ ক’রেই প্রেমের অস্কুরের প্রথম উন্মেষ, শরীরকে অবলম্বন ক’রেই তার বুদ্ধি ও বিকাশ । তখন সাধনার প্রদীপ্ত অনলে অভ্যতমুর ততু ভস্ম হয় নাই, সেই জন্তই "কড়ি ও কোমলে’র মধ্যে কবির বাসনাকে আমরা এত প্রদীপ্ত, এত তীব্র, এত মূৰ্ত্তিমতীরূপে দেখতে পাই । প্রতি অঙ্গ কাদে তব প্রতি অঙ্গ তরে প্রাণের মিলন মাগে দেহের মিলন