পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/১৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাস্তা প্রেম—মহুয়া ՖԳ> পুরুষের দুঃসাধ্যসাধনের ব্রত যদি নারীর কর্ণকুহরে মন্দ্রিত নাও হয়, যদি তাহার সহিত তাহার সাক্ষাৎ পরিচয় নাও ঘটে, যদি কেবল মাত্র দূর রণাঙ্গনের মধ্যে সমূদ্র তরঙ্গরবে তাহার হ্রেষাধনি, তাহার অস্ত্রের ঝনঝনি মাত্র শোনা যায়, তথাপি তিনি তাহার চিত্তের অন্তরালে বসিয়া গোপন রজনী জাগিয়া সেই বীবের উদ্দেশে আপন বরমাল্য অৰ্ঘ্য-থালায় সাজাইয়া রাখেন ; লালসা-লোলুপের দিকে তিনি ফিরিয়া চান না। শৌর্য্যের মধ্যে অপরিচয়ের যে পরিচয় সেই বীর লাভ করেন, তাহা দ্বারাই তিনি নারীর বীরবরমাল্য অর্জন করেন । "আহবান’ কবিতাটিতে নারী পুরুষকে ডাকিয়া বলিতেছেন যে, তিনি তাহার বন্ধন নন, তিনি র্তাহার পথের সম্বল । দুর্গম নীরস নিষ্ঠুর আতিথ্যবিহীন পথে যখন তিনি চলিবেন তখন ক্লান্তিহীন সঙ্গ দিয়া নিঃশঙ্ক অস্তরে শুশ্ৰুষার পূর্ণ শক্তি দিয়া তিনি তাহার সেবায় নিবত থাকিবেন। সে সেবা এমন যে, “শুকায় না রসবিন্দু প্রথর নির্দয় স্থৰ্য্য তেজে ; নীরস প্রস্তর তলে দৃঢ়বলে রেখে দেয় সে-যে অক্ষয় সম্পদরাশি । সহাস্ত উজ্জল গতি তা’র দুৰ্য্যোগে অপবাজিত, অবিচল বীৰ্য্যের আধার ॥” নারী পুরুষকে বলিতেছেন, “তোমারে সম্পূর্ণ জানি হেন মিথ্যা কখনো কহিনি”, তাহার মনে হইতেছে “কোন দিন ফুরাবে না পরিচয়, তোমারে বুঝিব আমি করি না সে আশা, কথায় যা বলো নাই, আমি ষে জানি না তা’র ভাষা। ভয় হয় পাছে যে-সম্পদ চেয়েছিলে মোব কাছে সে-যে মোর নাই, তাই শেষে পড়ে ধরা, দেখে দূর হতে এসে জলাশয়ে জল নাই ভরা।”