পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/১৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

bre রবি-দীপিত কিন্তু তিনি সঙ্গে সঙ্গে অনুভব করিতেছেন যে নারীর কামনা পরিপূরণের জন্য প্রেমাম্পদ তাহার নিকট হইতে কিছু লাভ করিবেন বলিয়া তাহার নিকট আসেন নাই, তিনি আসিয়াছেন তাহার দেবার আনন্দ পরিপূর্ণ করিবার জন্য। “নহে নহে, হে রাজন, তোমার অনেক ধন আছে, তাই তুমি আস মোর কাছে দেবার আনন্দ তব পূর্ণ করিবার লাগি যদি তাই পূর্ণ হয়, তবে আমি নহি তো অভাগী ॥” পুরুষের আত্মবিলয়নের ও আত্মদানের আনন্দের মধ্যেই নারীর সার্থকতা। যে পুরুষ নারীর কামনা পরিপূরণের জন্য আসে সে হয় ব্যর্থ, ষে আসে তাহার সমগ্র প্রেমের স্রোতে তাহার আপন দানের মত্ততায়, তাহার আপন হৃদয়পদ্মের সৌরভবিকিরণের স্বাভাবিক বেগমূৰ্ত্তিতে স্বর্ঘ্যের আলোর ন্যায়, আকাশের বর্ষণের দ্যায়, তাহার সেই প্রেম নারী-ধরিত্রীকে ধন্য করে, উজ্জল করে, জীবনময় করে। যুগ যুগান্ত ধরিয়া বিশ্ব ভরিয়া শক্তির যে আদিম তপস্যা চলিয়াছে, সেই তপস্যাই তাহার অক্লান্ত দুর্গম সাধন পথ বহিয়া আমাদের চিত্তকোরক উন্মেষিত করিয়া প্রেমের মহাস্থষ্টিকে আমাদের মধ্যে উদ্ভাসিত করিয়াছে। যে প্ৰেমদৃষ্টিতে একজন আর একজনকে দেখে, যে মোহন মন্ত্রে একজন আর একজনের চক্ষুতে স্বন্দরতম হইয়া প্রতিভাত হয়, যে জ্যোতির সঙ্কেতে একজনের অনস্তরূপের মধ্যে আর একজন আপনার গভীর সত্য আবিষ্কার করে সে তো চোখের দেখা নয়, ত্বগিন্দ্রিয়ের স্পর্শ নয়, সে যে মহতী স্বষ্টি। সে স্বষ্টি জ্ঞানের স্বষ্টি নয়, ধ্যানের স্বষ্টি নয়, রূপের স্বষ্টি নয়, জীবনের স্বষ্টি নয়, সে অস্তরাত্মার সমগ্র মিলনের স্বষ্টি । “অন্তহীন কাল আর অসীম গগন নিদ্রাহীন আলো কি অনাদি মন্ত্রে তা’রা অঙ্গ ধরি তোমাতে মিলালো ।