পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/২০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

brట్ర রবি-দীপিতা কোন সে পরম মুক্তি, কোন সেই আপনার দীপ্যমান মহা আবিষ্কার ”* * সোনার বীণায় তার সঙ্গীত আনিছে কোন গুণী । জাগিবে হৃদয়, ভূবন তাহার হবে বাণীময়।” নামী কবিতাগুলি পড়িলে দেখা যায় যে প্রকৃতিলোকের মধ্যে যেমন স্বষ্টির নানা বৈচিত্র্য হৃদয়ের মধ্যে নানা ভাবকে মূৰ্ত্ত কবিয়া তোলে, নারীলোকের মধ্যেও তেমনি নানা মুক্তি হষ্টির নানা বিচিত্রতাকে সার্থক করিয়া তুলিয়াছে। প্রকৃতিলোক ও নারীলোক যেন একই ছন্দে গাথা । উভয়ের সঙ্গেই সাক্ষাৎ হয় আমাদের ভাবলোকে । যেমন প্রকৃতি-স্বষ্টির সার্থকতা আমাদের ভাবলোকের মধ্যের মিলনে, নারীলোকেরও সার্থকতা তেমনি আমাদেব সেই অন্তর-লোকের মিলনে । ছায়ালোক কবিতাটিতে নারী বলিতেছে, “যেথায় তুমি গুণী জ্ঞানী, যেথায় তুমি মানী, যেথায় তুমি তত্ত্ববিদের সেরা, আমি সেথায় লুকিয়ে যেতে পথ পাব না জানি, সেথায়ু তুমি লোকের ভিড়ে ঘেরা।” কিন্তু যেখানে তাহার প্রাণে তীক্ষু চক্ষুর কোন প্রশ্ন নাই, হৃদয়ের দ্বার অসতর্ক ও মুক্ত, যেখানে তিনি দৃষ্টিকৰ্ত্তা নন, রস-রচনার স্বষ্টিতে স্বষ্টিকৰ্ত্ত, সেইখানেতে নারীর সহিত র্তাহার মিলন । সেইখানেতে তিনি, "দেখবে আমায় স্বপন-দেখা চোখে চম্কে উঠে বলবে তুমি ও কে, কোন দেবতার ছিল মানসলোকে এলো আমার গানের ডাকে ডাকা ।” সে-ৰূপ আমার দেখবে ছায়ালোকে ষে-রূপ তোমার পরাণ দিয়া অঁাকা ।”