পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/২০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাস্তা প্রেম—মহুয়া $brot নারীর সহিত পুরুষের যে মিলন তাহ দেহলোকের মধ্যে নহে, অস্তরের অৰ্দ্ধপ্রচ্ছন্ন ছায়ালোকের মধ্যে, “ছায়ায় ঢাকা অাধেক-দেখা তোমার বাতায়নে,— যে-মুখ তোমার লুকিয়েছিল সে-মুখ অণকি মনে।” ছান্দোগ্য উপনিষদের অনুকরণে কবি বলেন যে নারীর অজর অমর মূৰ্ত্তি, অাদশে তাহার যে প্রতিবিম্ব পাওয়া যায় তাহার মধ্যে নহে-নারীর দেহ তাহার ছায়া নয়। তাহা দ্বারা বহিরঙ্গনে নৃত্য করা যায় অন্তর মন্দিরে প্রবেশ করা যায় না । "জান নাকি, হে রমণী, দর্পণে যা দেখিছ তা ছায়া, পারে না রচিতে কন্তু তাই দিয়ে চিরস্থায়ী মায় । * * লয়ে আত্ম নিবেদন, গৌরবে জিনিলা শচী ইন্দ্রলোকে নন্দন আসন।” ইহার পরে দেখা যায় যে ভাবলোকে মিলনের নানা চিত্র কবির চিত্তপটে প্রভাত আকাশের বর্ণচ্ছটার চঞ্চল ভঙ্গীতে দোল থাইতেছে। একাকিনী”কে দেখিয়া তিনি বলিতেছেন, "অনাদি বিবহ রস, তাই দিয়ে ভরিয়া অণধার কোন বিশ্ব বেদনার মহেশ্বরে দেয় উপহার। * * মিলায়েছ, সুগম্ভীর দুঃখের মাঝারে যে-মুক্তি রয়েছে লীন বন্ধহীন শাস্ত অন্ধকারে । * * অনস্তেরে সম্বোধিয়া কহিল সে উৰ্দ্ধে তুলি’ আখি, ‘তুমিও একাকী’ ” নববধূকে তিনি বলিতেছেন, ‘র’য়েছে কঠোর দুঃখ, র’য়েছে বিচ্ছেদ, তৰু দিন পূর্ণ হবে, রহিবে না খেদ,